যশোরে বন্দুকযুদ্ধে এক সন্ত্রাসী নিহত: পুলিশ

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

যশোরে পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। গতকাল সোমবার দিবাগত রাতে সদর উপজেলার সাড়াপোল এলাকায় এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে।নিহত ওই ব্যক্তির নাম বাবু (৪০)। তাঁর বাড়ি যশোর সদর উপজেলার কৃষ্ণবাটী গ্রামে।

পুলিশ দাবি করেছে, বাবু একজন দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী। তাঁর বিরুদ্ধে কোতয়ালী থানায় হত্যা, অস্ত্র, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণের ১২টি মামলা রয়েছে।

পুলিশ সূত্র জানায়, সোমবার দিবাগত রাতে একদল সন্ত্রাসী অপরাধমূলক কাজ করার জন্য সদর উপজেলার সাড়াপোলের কালাবগা এলাকায় চাঁচড়া-সাড়াপোল সড়কের একটি কালভার্টের পাশে অবস্থান করছিল।

গোপন সূত্রে এ খবর পেয়ে রাত দুইটার দিকে পুলিশ সেখানে অভিযান চালায়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে সন্ত্রাসীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। আত্মরক্ষার্থে পুলিশও দশটি গুলি চালায়। একপর্যায়ে সন্ত্রাসীরা সেখান থেকে পালিয়ে যায়। পরে ওই এলাকা তল্লাশি করে একজনকে গুরুতর আহত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। পুলিশ তাঁকে উদ্ধার করে যশোর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসে। সেখানে আনার পর তিনি মারা যান। এলাকাবাসী তাঁকে বাবু বলে শনাক্ত করেন। তবে তাঁর বাবার নাম জানা যায়নি।

পুলিশের ভাষ্য, সোমবার দিবাগত রাতে ওই বন্দুকযুদ্ধ চলাকালে তাদের পুলিশের কনস্টেবল আবু বকর ও খায়রুল ইসলাম আহত হন। তাঁদের যশোর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দিয়ে পুলিশ লাইনস হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে একটি ওয়ান শুটার গান, ছয়টি গুলির খোসা, ২০০টি ইয়াবা এবং ৫৪ বোতল ফেনসিডিল জব্দ করা হয়েছে।

কোতোয়ালি থানার পরিদর্শক(তদন্ত) শেখ তাসমীম আলম বলেন, বাবুর বিরুদ্ধে হত্যাসহ বিভিন্ন অভিযোগে কোতোয়ালি থানায় ১২টি মামলা আছে। পুলিশ তাঁকে খুঁজছিল। এ ব্যাপারে চারটি মামলা প্রক্রিয়াধীন