বরিশালে জ্বর ও শ্বাসকষ্টে মারা গেলেন পুলিশ কর্মকর্তা

 বরিশালে জ্বর ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে পুলিশের এক উপপরিদর্শক (এসআই) মারা গেছেন। গতকাল সোমবার রাতে বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসোলেশন ইউনিটে তিনি মারা যান। ওই হাসপাতালের পরিচালক বাকির হোসেন প্রথম আলোকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

হাসপাতাল সূত্র জানায়, সোমবার রাত সাড়ে ৮টায় মারা যাওয়া ওই এসআইয়ের (৫৫) বাড়ি বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলায়। তিনি ঢাকা মহানগর পুলিশের পাবলিক অর্ডার ম্যানেজমেন্ট (পিওএম) বিভাগে কর্মরত ছিলেন। 

 বিভাগীয় স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা যায়, বরিশাল বিভাগে সোমবার নতুন করে ৭ জন করোনায় (কোভিড–১৯) আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছেন। এর মধ্যে শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের এক জ্যেষ্ঠ স্টাফ নার্সের দুই সন্তান ও শ্বশুর-শাশুড়ি রয়েছেন। এর আগে ওই নার্সও করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। এ নিয়ে বিভাগে করোনায় (কোভিড–১৯) আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ১৬৭। এর মধ্যে বরিশালে নতুন পাঁচজনসহ ৫৬ জন, বরগুনায় নতুন একজনসহ ৩৯ জন, পটুয়াখালীতে ৩০, ঝালকাঠি জেলায় নতুন একজনসহ ১৫, পিরোজপুরে ১৯ এবং ভোলা জেলায় ৮ জন।

 শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সূত্র জানায়, ওই এসআই শ্বাসকষ্ট ও জ্বর নিয়ে রোববার বেলা ১টা ১০ মিনিটে হাসপাতালে ভর্তি হন। এরপর থেকে তিনি পর্যবেক্ষণে ছিলেন। সোমবার রাত সাড়ে ৮টার তিনি মারা যান। মৃত্যুর আগে তাঁর নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করা হলে তা নেগেটিভ আসে। তবে মারা যাওয়ার পর পুনরায় তাঁর নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।

 বিভাগীয় স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্র জানায়, বরিশাল বিভাগে করোনার উপসর্গ নিয়ে গত ৯ এপ্রিল বরগুনা ও পটুয়াখালীতে দুজন রোগী মারা যান। পরে নমুনা পরীক্ষায় তাঁরা দুজনই করোনা পজিটিভ হন। বিভাগে এ দুজনকেই প্রথম করোনা (কোভিড–১৯) রোগী হিসেবে শনাক্ত করা হয়। এরপর করোনা শনাক্ত এবং করোনা উপসর্গ নিয়ে বিভাগের বিভিন্ন হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে ৩৪ জন রোগীর মৃত্যু হয়। এর মধ্যে ছয়জন করোনা পজিটিভ, অন্যরা নেগেটিভ। সবচেয়ে বেশি রোগীর মৃত্যু হয় বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। এখানে ২৮ মার্চ থেকে সোমবার পর্যন্ত ১৯ জন মারা যান।

 এ বিষয়ে বরিশাল বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের  সহকারী পরিচালক শ্যামল কুমার মণ্ডল মঙ্গলবার সকালে প্রথম আলোকে বলেন, বরিশালে নতুন সাতজনসহ আক্রান্তের সংখ্যা ১৬৭।  তবে এর মধ্যে ৮৩ জনই সুস্থ হয়ে বাড়ি গেছেন।