বাজেটে শিক্ষা খাতে ১৮% বরাদ্দ চায় ছাত্র ইউনিয়ন

জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আজ এক মানববন্ধন করে কেন্দ্রীয় ছাত্র ইউনিয়ন। ছবি: সংগৃহীত
জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আজ এক মানববন্ধন করে কেন্দ্রীয় ছাত্র ইউনিয়ন। ছবি: সংগৃহীত

দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় গবেষণা খাতে বর্তমানে করুণ অবস্থা বিরাজ করছে বলে মনে করে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন। এর জন্য সরকারকে দায়ী করেছেন সংগঠনটির নেতারা। তাঁরা বলেছেন, জাতীয় বাজেটের ২৫ শতাংশ শিক্ষা খাতে বরাদ্দ দেওয়া গেলে দেশের গবেষণা খাতকে শক্তিশালী করা যেত। করোনা-পরবর্তী শিক্ষাব্যবস্থাকে ঢেলে সাজাতে আসন্ন বাজেটে ১৮ শতাংশ এবং ক্রমান্বয়ে তিন বছরের মধ্যে তা ২৫ শতাংশে উন্নীত করার দাবি জানিয়েছেন ছাত্র ইউনিয়নের নেতারা।

আজ মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত এক মানববন্ধন থেকে কেন্দ্রীয় ছাত্র ইউনিয়ন এসব দাবি জানায়। ‘আসন্ন বাজেটে শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ বৃদ্ধির দাবিতে’ সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করে এই মানববন্ধন করা হয় বলে সংগঠনটির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মানববন্ধনে ছাত্র ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় সভাপতি মেহেদী হাসান বলেন, ‘করোনাভাইরাস পরিস্থিতি আমাদের সামনে অনেক সত্য উন্মোচন করে দিয়েছে। আজকে বাংলাদেশের মানুষ প্রশ্ন তোলা শুরু করেছে, হাজার হাজার কোটি টাকা খরচ করে কেনা সামরিক ট্যাংক আমাদের দরকার, নাকি করোনাভাইরাসের মতো দুর্যোগ মোকাবিলায় দেশের জনকল্যাণমুখী গবেষণা ও স্বয়ংসম্পূর্ণ হাসপাতাল দরকার। এই সময়ে শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ বৃদ্ধি করে দেশে গবেষণা ও স্বাস্থ্য খাতের শক্ত পাটাতন তৈরি করা দরকার।

ছাত্র ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক অনিক রায় বলেন, ‘যখন বিভিন্ন দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো করোনাভাইরাসের টেস্ট কিট বা প্রতিষেধক আবিষ্কারের গবেষণা করছে, তখন ছাত্র ইউনিয়নসহ অংশীজনদের দাবির মুখে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো করোনা টেস্টের প্রক্রিয়া শুরু করার উদ্যোগ নিয়েছে মাত্র। দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় গবেষণা খাতের এই করুণ অবস্থার দায় সরকারকেই নিতে হবে। দীর্ঘদিনের দাবি থাকার পরও সরকার শিক্ষা খাতে বাজেট বাড়ায়নি। ইউনেসকোর শিক্ষা দলিলে স্বাক্ষরকারী দেশ হিসেবে মোট বাজেটের ২৫ ভাগ শিক্ষা খাতে বরাদ্দ দেওয়া গেলে দেশের গবেষণা খাতকে শক্তিশালী করা যেত। বর্তমানে সার্টিফিকেটমুখী শিক্ষাব্যবস্থা ও শিক্ষা খাতে বরাদ্দের অপ্রতুলতা দেশের ক্রান্তিকালে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর গবেষণাগারকে অকেজো করে রেখেছে।

মানববন্ধনে তথ্যপ্রযুক্তি ও শিক্ষণ-প্রশিক্ষণকে শিক্ষা খাত থেকে আলাদা করে পৃথক বরাদ্দ রাখার দাবি জানিয়েছেন ছাত্র ইউনিয়নের নেতারা। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের টিউশন ফি এবং শিক্ষার্থীদের মেস ভাড়া মওকুফের দাবিও জানান তাঁরা।