মানিকগঞ্জে আইসোলেশন ওয়ার্ডে বৃদ্ধের মৃত্যু

মানিকগঞ্জ জেলা হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি এক বৃদ্ধ (৬৫) মারা গেছেন। আজ বুধবার সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আরশ্বাদ উল্লাহ এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

এ নিয়ে এই হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় চারজনের মৃত্যু হলো। তবে আগের মৃত তিনজন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ছিলেন না বলে নমুনা পরীক্ষায় নিশ্চিত হয় স্বাস্থ্য বিভাগ।

হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার ওই বৃদ্ধ আগে থেকেই শ্বাসকষ্টের সমস্যায় ভুগছিলেন। গতকাল মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তিনি জ্বর ও উচ্চ রক্তচাপ নিয়ে হাসপাতালে আসেন। এরপর জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তাঁকে আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি করেন। এরপর তাঁর নমুনা সংগ্রহ করে তা পরীক্ষার জন্য ঢাকার সাভারে বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়।

হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক আরশ্বাদ উল্লাহ বলেন, আজ সকাল আটটার দিকে আইসোলেশন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই বৃদ্ধের মৃত্যু হয়। তিনি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ছিলেন কিনা তা নিশ্চিত হওয়ার জন্য নমুনা পাঠানো হয়েছে। কাল বৃহস্পতিবার নমুনা পরীক্ষার ফলাফল পাওয়ার পর বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যাবে।

সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা লুৎফর রহমান বলেন, ধর্মীয় ও সরকারি বিধিবিধান মেনে করোনাভাইরাস উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়া ওই ব্যক্তির মরদেহ দাফন করা হবে। ওই ব্যক্তির বাড়ি লকডানসহ পরিবারের সদস্যদের শরীরের নমুনা সংগ্রহ করে তা পরীক্ষা করা হবে।

জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্র জানায়, এ পর্যন্ত জেলায় আটজন ব্যক্তি করোনাভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে মারা গেলেন। এর মধ্যে সদর উপজেলার চারজন, ঘিওরের দুজন, হরিরামপুর ও সাটুরিয়া উপজেলার দুজন। তবে আগে করোনাভাইরাস উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়া সাতজনের কারও করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়নি।নমুনা পরীক্ষার পর তাঁদের করোনাভাইরাস নেগেটিভ আসে।

জেলা সদর হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে এখন দুজন চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তাঁদের একজন সাটুরিয়ার বালিয়াটি ইউনিয়নের এক বাসিন্দা (৫৮) এবং অপরজন দৌলতপুরের জিয়নপুর ইউনিয়নের এক বৃদ্ধ (৭০)।