আশুলিয়ায় বকেয়া বেতন ও কারখানা খোলার দাবিতে শ্রমিকদের বিক্ষোভ

আশুলিয়ার আদিয়াত অ্যাপারেলসের শ্রমিকেরা কারখানার মূল ফটকের ভেতরে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেছেন। ছবি: অরূপ রায়
আশুলিয়ার আদিয়াত অ্যাপারেলসের শ্রমিকেরা কারখানার মূল ফটকের ভেতরে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেছেন। ছবি: অরূপ রায়

ঢাকার আশুলিয়ায় বকেয়া বেতন ও কারখানা খোলার দাবিতে একটি কারখানার শ্রমিকেরা আজ বুধবার বিক্ষোভ করেছেন। দুই মাস ধরে তাঁরা বেতন পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ করেছেন।

 শিল্প পুলিশ ও শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত মার্চ মাস থেকে নরসিংহপুর এলাকার আদিয়াত অ্যাপারেলস লিমিটেডের শ্রমিকেরা বেতন পাচ্ছেন না। এর মধ্যে আজ বুধবার কর্তৃপক্ষ এক নোটিশে অনির্দিষ্টকালের জন্য কারখানা বন্ধ ঘোষণা করে ২০ মে বেতন পরিশোধের ঘোষণা দেয়। খবর পেয়ে সকাল ১০টার টার দিকে শ্রমিকেরা কারখানার সামনে উপস্থিত হয়ে বিক্ষোভ করেন। একপর্যায়ে তাঁরা কারখানার মুল ফটকের সামনে ও ভেতরের সিঁড়িতে অবস্থান নেন। এ সময় তাঁরা বকেয়া বেতন ও কারখানা খোলার দাবি জানান।

শ্রমিকেরা বলেন, করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে গত ২৮ মার্চ তাঁদের কারখানা বন্ধ করে দেওয়া হয়। এরপর আর কারখানা খোলেনি। কারখানা বন্ধ থাকা অবস্থায় কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন দিনে মুঠোফোনে শ্রমিকদের ডেকে এনে তাঁদের মার্চ মাসের বেতনের অর্ধেক পরিশোধ করেছে। এরপর বিভিন্ন তারিখে শ্রমিকদের বেতন পরিশোধের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তাঁরা বেতনের জন্য কারখানায় গিয়ে তা বন্ধ পেয়েছেন। বেতন পরিশোধ না করে আজ অনির্দিষ্টকালের জন্য কারখানা বন্ধ ঘোষণা করে মূল ফটকে নোটিশ টাঙিয়ে দেওয়া হয়।

শ্রমিকেরা বলেন, করোনাভাইরাসের মধ্যে বেতন না পেয়ে তাঁরা চরম সংকটের মধ্যে জীবন যাপন করছেন। বেতন দেওয়ার পাশপাশি কারখানা খুলে দেওয়া না হলে তাঁদের না খেয়ে মরতে হবে।

গার্মেন্টস শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক খায়রুল মামুন বলেন, সরকার এবং পোশাক শিল্পমালিকদের সংগঠনের (বিজিএমইএ) পক্ষ থেকে ঈদের আগে শ্রমিক ছাঁটাই ও কারখানা বন্ধ না করার কথা বলা হলেও আনেক কারখানার মালিক তা মানছেন না। আদিয়াতের মালিক তাঁদের একজন।

শিল্প পুলিশের এক কর্মকর্তা বলেন, মালিকপক্ষোর সঙ্গে কথা হয়েছে। যন্ত্র বিক্রি করে হলেও আগামী ২০ মে শ্রমিকদের বেতন পরিশোধের আশ্বাস দিয়েছেন তাঁরা।
কারখানা বন্ধের ঘোষণা সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘কারখানা চালাতে না পারলে তো বন্ধ করা ছাড়া বিকল্প কোনো পথ নেই।’