ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর ছাত্রলীগের সভাপতিসহ ২২ জন গ্রেপ্তার

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহরে আধিপাত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনায় পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি মিকাঈল হোসেনসহ ২২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার রাতে শহরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে অস্ত্রসহ তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। আজ বুধবার বিকেল পাঁচটার দিকে আদালতের মাধ্যমে তাঁদের জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।

গ্রেপ্তার হওয়া অন্য ব্যক্তিদের মধ্যে ছাত্রলীগের আরও চার নেতা আছেন। তাঁরা হলেন ছাত্রলীগের সহসভাপতি নাবিল ইসলাম (২২), মো. তিমন (২২), যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সোহেল রানা (২৩) ও সহসম্পাদক এস এম জাকির হোসেন (২২)। অন্যরা ছাত্রলীগের কর্মী হিসেবে পরিচিত।

স্থানীয় লোকজন ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার রাত ৯টা থেকে ১০টার মধ্যে জেলা শহরের হালদারপাড়া ও বাগানবাড়ি এলাকায় পৌর ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে আধিপাত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সময় কয়েকটি ফাঁকা গুলি নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার সময় হালদারপাড়া ও বাগানবাড়ি এলাকার বেশ কয়েকটি দোকানপাট ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

পরে রাতে বাগানবাড়ির খানকা শরীফ এলাকায় অভিযান চালিয়ে পাঁচটি রামদা উদ্ধার করে পুলিশ। এরপর শহরের বাগানবাড়ি, মধ্যপাড়া, হালদারপাড়া, বিরাসার এলাকায় অভিযান চালিয়ে মিকাঈলসহ ২২ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। আজ বিকেলে সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রফিকুল ইসলাম ও মুজিবুর রহমান বাদী হয়ে অস্ত্র আইনে দুটি মামলা করেন। মামলায় তাঁদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রবিউল হোসেন বলেন, এলাকায় আধিপাত্য বিস্তার নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। ছাত্রলীগের পাঁচ নেতার গ্রেপ্তারের বিষয়টি তিনি শুনেছেন। ঘটনার সঙ্গে তাঁদের সংশ্লিষ্টতা আছে কি না, তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ শাহজাহান বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আজ অস্ত্র আইনের মামলায় ২২ জনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।