কমলগঞ্জে নারী ইউপি সদস্যকে মারধর

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার শমশেরনগর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) এক নারী সদস্যকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে আরেক ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে। সরকারি চাল বিতরণে অনিয়ম হওয়ায় ওই নারী সদস্য অভিযোগ করেছিলেন। এর জের ধরে ইউপি কার্যালয়ে আজ বুধবার এ মারধরে ঘটনা ঘটে।

আহত শারমীন চৌধুরী শমশেরনগর ইউপির ৪, ৫ ও ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত সদস্য। তাঁকে ২ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য রুহেল চৌধুরী মারধর করেন।

আহত নারী সদস্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন। তিনি বলেন, সরকারি ত্রাণের চাল বিতরণে অনিয়ম হওয়ায় তিনি এবং ৭, ৮ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত সদস্য নমিতা সিং গত ১৪ এপ্রিল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে লিখিত অভিযোগ করেছিলেন। অভিযোগের পর বিভিন্ন সংবাদপত্র ও কয়েকটি টিভি চ্যানেলে সংবাদ প্রকাশ হয়। এ নিয়ে তাঁদের সঙ্গে চেয়ারম্যান জুয়েল আহমদ ও পরিষদের অন্য সদস্যদের বিরোধ সৃষ্টি হয়। এর জের ধরে আজ দুপুরে ইউপি সদস্য রুহেল চৌধুরী উপজেলা সদরে নির্বাচন অফিসের সামনে তাঁর গালে চড় মারেন। পরে ইউনিয়ন অফিসে আসার পর চেয়ার তুলে তাঁকে মারধর করেন। রুহেল তাঁকে মেরে ফেলারও হুমকি দেন। এ ঘটনার নেপথ্যে ইউপি চেয়ারম্যান জুয়েল আহমদ রয়েছেন বলে তিনি অভিযোগ করেন। তিনি কমলগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করবেন বলে জানান।

নারী সদস্য নমিতা সিং বলেন, ইউএনওর কাছে তাঁরা দুই সদস্য অভিযোগ করার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে তাঁকে নিয়ে অশালীন পোস্ট করা হয়েছিল। এখন তাঁর সহকর্মীকে মারধর করা হলো। এ জন্য তিনি আতঙ্কিত।

এ ঘটনার পর থেকে রুহেলের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। তাঁর মুঠোফোন নম্বরটিও বন্ধ। শমশেরনগর ইউপির চেয়ারম্যান জুয়েল আহমদ বলেন, যতই বিরোধ থাকুক, এভাবে মারধর করা ঠিক হয়নি। এ বিষয়ে তিনি ইউএনওর সঙ্গে আলোচনা করে ব্যবস্থা নেবেন।

ইউএনও আশেকুল হক বলেন, একজন জনপ্রতিনিধির গায়ে হাত তোলা অপরাধ। এভাবে প্রকাশ্যে পরিষদ কার্যালয়ে চেয়ার তুলে মারধর কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। তিনি এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন।