নমুনা পরীক্ষায় প্রথমে নেগেটিভ, পরে পজিটিভ

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

বাগেরহাটের কচুয়া উপজেলায় আরও একজনের শরীরে করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) শনাক্ত হয়েছে। প্রথম দফায় তাঁর নমুনা পরীক্ষার ফল 'নেগেটিভ' হলেও দ্বিতীয় দফায় ‌'পজিটিভ' আসে। । বুধবার খুলনা মেডিকেল কলেজের ল্যাবরেটরিতে তাঁর দ্বিতীয় দফা নমুনা পরীক্ষা করা হয়।

করোনা শনাক্ত হওয়া ওই ব্যক্তির বয়স ২৭ বছর। তাঁর বাড়ি উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নে। তিনি ঢাকায় একজন আইনজীবীর গাড়ি চালাতেন। কচুয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) মনিশংকর পাইক প্রথম আলোকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্র জানায়, ৮ মে ঢাকা থেকে করোনা উপসর্গ নিয়ে তিনি বাড়িতে আসেন। ওই যুবকের করোনা শনাক্তের পর তাঁদের বাড়িসহ আশপাশের সাতটি বাড়ি লকডাউন করা করেছে উপজেলা প্রশাসন।

কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আরএমও মনিশংকর পাইক প্রথম আলোকে বলেন, ওই যুবক গত শুক্রবার ঢাকা থেকে বাড়ি ফেরেন। করোনার উপসর্গ থাকায় তাঁকে হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। পরদিন তাঁর নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য খুলনার ল্যাবে পাঠানো হয়। গত মঙ্গলবার তাঁর করোনা পরীক্ষার ফল 'নেগেটিভ' আসে। এরপর তাঁকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হওয়া হয়। তবে সন্দেহ থেকে বাসায় যাওয়ার আগে ওই যুবকের দ্বিতীয় দফায় নমুনা পরীক্ষা করা হলে তা করোনা 'পজিটিভ' আসে।

কচুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুজিৎ দেবনাথ বলেন, করোনা আক্রান্ত ব্যক্তির বাড়িসহ আশপাশের সাতটি বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে। রোগীর সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদের নমুনা সংগ্রহ করা পরীক্ষার উদ্যোগ নিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ।
গত রোববার একই উপজেলার রাড়ীপাড়া ইউনিয়নের শ্রীরামপুর গ্রামে আরও একজনের করোনা শনাক্ত হয়। পরদিন চিতলমারী উপজেলার কলাতলা ইউনিয়নের চরচিংগুড়ি গ্রামে ঢাকাফেরত এক পোশাক শ্রমিক দম্পতির করোনাভাইরাস ধরা পড়ে।