মানুষ বাঁচাতে সরকার পদক্ষেপ নেয়নি: রিজভী

মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার নিমতলী এলাকায় ত্রাণ বিতরণ করেন বিএনপি নেতা রহুল কবির। ছবি: সংগৃহীত
মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার নিমতলী এলাকায় ত্রাণ বিতরণ করেন বিএনপি নেতা রহুল কবির। ছবি: সংগৃহীত

সরকার করোনা মহামারিতে মানুষকে বাঁচাতে বা সচেতন করতে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

আজ শুক্রবার সকালে মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার নিমতলী এলাকায় ও শ্রীনগরের বীরতারা ইউনিয়নে ত্রাণ বিতরণের সময় তিনি এসব কথা বলেন।

রুহুল কবির রিজভী বলেন, বিশ্বব্যাপী করোনা মহাদুর্যোগ ২১০টি দেশে আঘাত হেনেছে। এটির কোনো ওষুধ তৈরি হয়নি। সচেতন ও সাবধান থাকতে হবে করোনা মোকাবিলায়। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের বিষয় সরকার কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। উল্টো লকডাউন তুলে দিয়েছে।

‘একবার বলেন লকডাউন শিথিল করা হয়েছে, আবার বলেন লকডাউন চলবে। তাঁরা মানুষকে বিভ্রান্তির মধ্যে ফেলছেন। আমাদের দেশ আক্রান্ত হওয়ার আগে করোনা প্রতিরোধে পদক্ষেপ নিতে পারতেন, তা নেননি।’

রিজভী বলেন, সরকার কয়েকটি ফ্লাইওভার তৈরি করে উন্নয়নে ভাসিয়ে দিচ্ছে বলে প্রচার করছে। হাসপাতাল নেই কেন, ভেন্টিলেটর নেই কেন। করোনা রোগীদের দরকার ভেন্টিলেটর, অক্সিজেন।

দেশের ৯০ শতাংশ হাসপাতালে এ ব্যবস্থা নেই। তাহলে মানুষ বাঁচবে না মরবে। তাহলে তো মানুষ মরার কথা। সরকার মানুষ বাঁচানোর কোনো কাজ করেনি।

প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে রিজভী বলেন, ‘মানুষ বাঁচানোর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করেননি। আপনি করেছেন উন্নয়নের নামে আপনার নেতা–কর্মীদের যাতে পকেট ভারী হয়। আপনার দলের নেতা–কর্মীরা ক্যাসিনোর মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা বিদেশে পাচার করছে। হাসপাতাল করেননি। মানুষ বাঁচানোর জন্য উন্নত যন্ত্রপাতি আনেননি। উন্নত স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় করেননি, যার মধ্য দিয়ে প্রকৃত উন্নয়ন হবে, তা আপনারা করেননি।’

ভয়ংকর পরিস্থিতি তৈরি করে মানুষ বাঁচুক–মরুক তাতে সরকারের কোনো দায়িত্ব নেই। আমি ছেড়ে দিলাম, মরবে মরুক। আর যে বাঁচবে বাঁচুক। আমি তো ঠিক আছি। আমার নেতা–কর্মীরা খেয়েদেয়ে ঠিক আছে। আমাদের জীবন নিরাপদ আছে। জনগণের সাথে কোনো সম্পর্ক নাই। সাংবাদিক, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা মারা যাচ্ছেন।

সরকারের কোনো পদক্ষেপ নেই। ত্রাণ বিতরণের সময় বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ‘এরকম দুর্যোগ পরিস্থিতিতে আমাদের সামর্থ্য অনুযায়ী জনগণের পাশে আছি। আমরা শান্তিপূর্ণভাবে কাজ করতে পারছি না।’

‘আমাদের নেতা–কর্মীদের গুম করা হচ্ছে। মামলা দিয়ে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। অর্থাৎ জনগণকে সহায়তা করার জন্য বিরোধী দলগুলো এগিয়ে যাবে, সেখানে তারা বাধা দিচ্ছে। অসহায় মানুষ, কর্মহীন মানুষ, গরিব মানুষ বেঁচে থাকুক, সরকার তা চায় না। চায় না বলে ভয়ংকার মহামারিতেও নির্যাতন অব্যাহত রেখেছে।’

ত্রাণ বিতরণের সময় আরও উপস্থিত ছিলেন,বিএনপির স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী, সিরাজদিখান থানা বিএনপির সভাপতি বীরেন কুদ্দুস, সাধারণ সম্পাদক আওলাদ হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. সোহেল হোসেন, শ্রীনগর বিএনপির সভাপতি শহীদুল হক, সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম, সাংগঠনিক সম্পাদক আওলাদ হোসেন প্রমুখ।