পাটগ্রামে চিকিৎসক করোনায় আক্রান্ত

লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এক চিকিৎসা কর্মকর্তা করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে রংপুরের ল্যাব থেকে পাঠানো নমুনা পরীক্ষার প্রতিবেদনে তিনি করোনা ‘পজিটিভ’ উল্লেখ করা হয়। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা অরূপ পাল প্রথম আলোকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেক্সে সূত্রে জানা গেছে, ৪ মে নারায়ণগঞ্জফেরত এক ব্যক্তি পাটগ্রামে উপজেলায় প্রথম করোনায় আক্রান্ত হন। তাঁকে চিকিৎসা দেওয়ার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আইসোলেশনে ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। ওই আইসোলেশন ওয়ার্ডের রোগীদের চিকিৎসা দেওয়ার দায়িত্বে ছিলেন গতকাল করোনায় আক্রান্ত হওয়া ওই চিকিৎসক। আইসোলেশন ওয়ার্ডে ওই রোগীর চিকিৎসা করার দুই-তিন দিন পর ওই চিকিৎসক অসুস্থ হয়ে পড়ার পর তাঁকে স্থানীয় একটি আবাসিক হোটেলে কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়। ১২ মে স্বাস্থ্যকর্মীরা তাঁর নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজের ল্যাবে পাঠান। এরপর গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে ওই চিকিৎসকের করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন বলে উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ জানতে পারে। তাঁকে উপজেলার একটি আবাসিক হোটেলে আইসোলেশনে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা যায়, ঢাকায় করোনাভাইরাসে শনাক্ত হওয়ার পর এক পোশাকশ্রমিক গত বুধবার পাটগ্রামের বাড়িতে পালিয়ে আসেন। ওই ব্যক্তির বাড়ি উপজেলার পাটগ্রাম ইউনিয়নে। তিনি মিরপুরে একটি পোশাক কারখানায় কাজ করতেন। অসুস্থ হয়ে পড়ায় কয়েক দিন আগে তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যাবে তাঁর নমুনা পরীক্ষা করার জন্য দেন। ১২ মে তাঁর নমুনা পরীক্ষার ফলে করোনা ‘পজিটিভ’ আসে। পরে তিনি আতঙ্কিত হয়ে গ্রামের বাড়িতে পালিয়ে আসেন। একপর্যায়ে ওই পোশাকশ্রমিকের বাড়িতে পালিয়ে আসার খবর প্রশাসন জানতে পারে। পরে প্রশাসন তাঁকে খুঁজে বের করে তাঁকে বাড়িতেই আইসোলেশনে থেকে চিকিৎসা করানোর নির্দেশ দেয়। পাটগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মশিউর রহমান ওই পোশাককর্মীকে নিজ বাড়িতে আইসোলেশনে থেকে চিকিৎসা করানোর নির্দেশ দেওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।