টেকনাফে হত্যাসহ আট মামলার আসামি 'বন্দুকযুদ্ধে' নিহত

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

কক্সবাজারের টেকনাফে পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে আরিফুল ইসলাম ওরফে আরিফ (২২) নামে এক তরুণ নিহত হয়েছেন বলে দাবি করেছে পুলিশ। তিনি উপজেলার টেকনাফ সদর ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য ও মহেষখালীয়াপাড়ার বাসিন্দা নুরুল ইসলামের ছেলে।

শুক্রবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে টেকনাফ সদর ইউনিয়নের মহেশখালীয়াপাড়া মৎস্যঘাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

পুলিশ দাবি, নিহত যুবক একজন দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী। হত্যাসহ আটটি মামলা রয়েছে তাঁর নামে। ঘটনাস্থল থেকে একটি এলজি ও ১৫ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) রামধন দাশ, সাইফুদ্দিন ও কনস্টেবল রমন দাশ আহত হয়েছেন।

টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ জানান, শুক্রবার গভীর রাতে হত্যাসহ একাধিক মামলার আসামি আরিফ দলবল নিয়ে মহেষখালীয়াপাড়া মৎস্যঘাট এলাকায় অবস্থানের খবর পায় পুলিশ। পরে পুলিশের একটি দল সেখানে অভিযানে গেলে সন্ত্রাসীরা পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে গুলিবর্ষণ করেন। এ সময় সন্ত্রাসীদের সঙ্গে পুলিশের গুলিবিনিময়ের ঘটনা ঘটে। এতে পুলিশের ৩ সদস্য আহত হন। একপর্যায়ে সন্ত্রাসীরা পিছু হটলে ঘটনাস্থল থেকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় আরিফকে উদ্ধার করে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নেওয়া হয়।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে চিকিৎসক জাকারিয়া মাহমুদ প্রথম আলোকে বলেন, রাতে পুলিশ চারজনকে হাসপাতালে নিয়ে আসে। সাধারণ পোশাকে থাকা আরিফ নামে একজনের শরীরে তিনটি গুলির চিহ্ন রয়েছে। তার অবস্থা ছিল আশঙ্কাজনক। অপর তিনজন পুলিশ সদস্যকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। গুলিবিদ্ধ আরিফকে উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়।

ওসি প্রদীপ কুমার দাশ বলেন, কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে।

এ ব্যাপারে নিহত আরিফের বড় ভাই দিদারুল ইসলামের মুঠোফোন নম্বরে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

২০১৮ সালের ৪ মে থেকে সারা দেশে মাদকবিরোধী অভিযান শুরু হওয়ার পর র‍্যাব, বিজিবি, পুলিশ, মাদক ব্যবসায়ীদের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব, মানব পাচারকারী দালাল চক্র ও ডাকাত দলের সঙ্গে গোলাগুলির ঘটনায় (আজ) শনিবার সকাল পর্যন্ত শুধু কক্সবাজার জেলায় চারজন নারীসহ ২৪১ জন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে দুই নারীসহ ৮৬ জন রোহিঙ্গা নাগরিকও রয়েছেন।