রংপুরে নিজ ঘর থেকে স্বামী, স্ত্রী ও শিশুসন্তানের লাশ উদ্ধার

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার একটি বাড়ি থেকে স্বামী-স্ত্রী ও শিশুসন্তানের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহতের স্ত্রী ও শিশুর গলায় ছুরিকাঘাতের চিহ্ন আছে। সেই সঙ্গে গৃহকর্তার লাশ ঘরে বাঁশের সঙ্গে ঝুলন্ত ছিল।

আজ শনিবার দুপুর ১২টার দিকে গঙ্গাচড়া উপজেলার বড়বিল ইউনিয়নের বালাপাড়া গ্রামে নিহতের বাড়ি থেকে লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। তবে হত্যার কারণ সম্পর্কে বিস্তারিত জানাতে পারেনি পুলিশ।
বিষয়টি নিশ্চিত করে গঙ্গাচড়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) নূর আলম জানান, ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ও স্থানীয় ব্যক্তিদের মাধ্যমে ফোনে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে গৃহকর্তা হাফিজুল ইসলাম (৩০), তাঁর স্ত্রী ফাতেমা বেগম (২৫) ও তাঁদের দেড় বছরের শিশুকন্যা হোমায়রার মরদেহ উদ্ধার করে। নিহতের স্ত্রী ও শিশুকন্যার গলায় ছুরিকাঘাতের চিহ্ন আছে। সেই সঙ্গে গৃহকর্তার লাশ ঘরে বাঁশের সঙ্গে ঝুলন্ত ছিল। ধারণা করা হচ্ছে, স্ত্রী ও সন্তানকে হত্যার পর স্বামী নিজে আত্মহত্যা করেছেন।

পুলিশ, ইউনিয়ন পরিষদ এবং স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার রাতে এই পরিবারের স্বামী-স্ত্রীর ঝগড়া হয়। পারিবারিক কলহের জের ধরে লোমহর্ষ এ ঘটনা ঘটতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

বড়বিল ইউপি চেয়ারম্যান আফজালুল হক বলেন, হাফিজুল ইসলাম দীর্ঘদিন ধরে ঢাকায় ছিলেন। সেখানে একটা চাকরি করতেন। করোনাভাইরাসের কারণে ঢাকা থেকে তিনি গ্রামে চলে আসেন। তাঁর পরিবারে বেশ কিছুদিন ধরে কলহ চলছিল বলে স্থানীয় ব্যক্তিরা নিশ্চিত করেছে। ওই বাড়িতে তাঁরা ছাড়া আর অন্য কেউ বসবাস করতেন না।

এ ব্যাপারে গঙ্গাচড়া মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) নূর আলম প্রথম আলোকে বলেন, হত্যাকাণ্ডের সঠিক কারণ তদন্ত ছাড়া বলা সম্ভব নয়। একই পরিবারের তিনটি লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।