আদালতে ছুটি ৩০ মে পর্যন্ত বাড়ল, ভার্চ্যুয়াল কোর্ট চলবে

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধ ও পরিস্থিতি উন্নয়নের লক্ষ্যে আদালতে ৩০ মে পর্যন্ত ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। এ হিসাবে আদালতে ছুটি বাড়ল। তবে এই সময়ে শারীরিক উপস্থিতি ছাড়া তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে ভার্চ্যুয়াল উপস্থিতির মাধ্যমে শুধু জামিন শুনানি করতে অধস্তন আদালতের প্রতি নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের আদেশক্রমে আজ শনিবার সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মো. আলী আকবর স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা গেছে।

রেজিস্ট্রার জেনারেল স্বাক্ষরিত অপর এক বিজ্ঞপ্তিতে ছুটির সময় সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগ ও অধস্তন আদালতে কর্মরত সব কর্মকর্তা-কর্মচারীকে নিজ নিজ কর্মস্থল ত্যাগ না করার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হয়েছে।

সুপ্রিম কোর্টের মুখপাত্র মোহাম্মদ সাইফুর রহমান আজ প্রথম আলোকে বলেন, করোনাভাইরাসের সংক্রমণে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে গত ২৯ মার্চ থেকে সরকার ঘোষিত সাধারণ ছুটি আদালতেও চলছে। এর ধারাবাহিকতায় ছুটির মেয়াদ ৩০ মে পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। ১১ মে থেকে ভার্চ্যুয়াল আদালতের কার্যক্রম শুরু হয়। ছুটিকালীন ভার্চ্যুয়াল উপস্থিতিতে অধস্তন আদালতে জামিন-সংক্রান্ত বিষয়ে শুনানি অব্যাহত থাকবে। এ ছাড়া প্রধান বিচারপতির গঠন করে দেওয়া হাইকোর্টের পৃথক চারটি বেঞ্চ ও চেম্বার কোর্ট বসবেন।

সারা দেশে টিসিবির পণ্য বিক্রির ব্যবস্থা চেয়ে রিট
এদিকে করোনার সংক্রমণে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) পণ্য শুধু সিটি করপোরেশন এবং পৌরসভার মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে দেশের প্রতিটি উপজেলা পর্যায়ে সাধারণ মানুষের কাছে বিক্রির ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট হয়েছে। বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের হাইকোর্ট বেঞ্চে আজ শনিবার ই-মেইলের মাধ্যমে আইনজীবী মো. হুমায়ন কবির ওই রিট জমা দেন।

পরে হুমায়ন কবির প্রথম আলোকে বলেন, ল অ্যান্ড লাইফ ফাউন্ডেশনের পক্ষে রিটটি করা হয়েছে, যা ই-মেইলের মাধ্যমে আদালতে জমা দেওয়া হয়েছে। এতে বাণিজ্যসচিব, টিসিবির চেয়ারম্যানসহ তিনজনকে বিবাদী করা হয়েছে।

জীবাণুনাশক বুথ বসাতে অনুরোধ জানিয়ে আবেদন
এদিকে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে দেশের প্রতিটি আদালতের প্রবেশ ও বহির্গমন পথে থার্মাল স্ক্যানার, জীবাণুনাশক বুথ, হ্যান্ড স্যানিটাইজারসহ পর্যাপ্ত হাত ধোয়ার ব্যবস্থা রাখার অনুরোধ জানিয়ে প্রধান বিচারপতি বরাবরে আজ আবেদন দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের দুই আইনজীবী। তাঁরা হলেন আইনজীবী মো. হুমায়ন কবির ও মোহাম্মদ কাউসার।

সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের মাধ্যমে ই-মেইলে আবেদনটি পাঠানো হয় বলে জানান আইনজীবী হুমায়ন কবির।

হুমায়ন কবির প্রথম আলোকে বলেন, সারা দেশের আদালতে প্রতিদিন প্রায় ছয় থেকে সাত লাখ লোকের সমাগম হয়। কাজেই এমন জনবহুল জায়গায় জীবাণুনাশক বুথ এবং অন্যান্য ব্যবস্থা পর্যাপ্তভাবে গ্রহণ করা জরুরি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, করোনাভাইরাসের প্রভাব আরও দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে। তাই করোনা প্রতিরোধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা জরুরি। সার্বিক দিক বিবেচনায় নিয়ে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে দেশের সব আদালতে জীবণুনাশক বুথ ও হাত ধোয়ার পর্যাপ্ত ব্যবস্থা রাখতে প্রধান বিচারপতিকে অনুরোধ জানানো হয়েছে আবেদনে।’