শরণখোলায় ঢাকাফেরত ব্যবসায়ীর করোনা, বাজার লকডাউন

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

ঈদ উপলক্ষে নিজের দোকানের জন্য গার্মেন্টস পণ্য কিনতে ঢাকায় গিয়েছিলেন এক ব্যবসায়ী। ফিরে এসে তিনি দোকানে আসা-যাওয়া করেছেন নিয়মিত। চার দিন পর জানা গেছে তিনি করোনা 'পজিটিভ'। এ ঘটনায় লকডাউন করা হয়েছে বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলা সদরের রায়েন্দা বাজার।

শরণখোলার এই ব্যবসায়ী ছাড়াও গতকাল শনিবার বাগেরহাটে আরও একজনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। বাগেরহাট সদরের বাসিন্দা গার্মেন্টস কর্মী ওই নারী (৩০) গত ১৩ মে ঢাকা থেকে বাড়ি আসেন। শনিবার খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পিসিআর ল্যাবরেটরিতে নমুনা পরীক্ষায় তাঁদের দুজনের শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়।

বাগেরহাটের সিভিল সার্জন কে এম হুমায়ুন কবির প্রথম আলোকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, বাগেরহাট সদর উপজেলার একটি গ্রামের ওই নারী ঢাকার একটি গার্মেন্টসে কাজ করেন। ঢাকা থেকে আসার খবরে গত ১৪ মে স্বাস্থ্য বিভাগ তাঁর নমুনা সংগ্রহ করে বাড়িতে কোয়ারেন্টিনে থাকতে বলে। করোনার কোনো উপসর্গ না থাকলেও ঢাকা থেকে আসায় তাঁর নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। শনিবার পরীক্ষায় তাঁর করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ ঘটনায় আক্রান্তের বাড়িসহ ওই গ্রামের ৫টি বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে।

এদিকে শরণখোলা উপজেলার ওই ব্যবসায়ী পণ্য কিনে গত ১২ মে ঢাকা থেকে এলাকায় আসেন। পুলিশের মাধ্যমে জানতে পেরে স্বাস্থ্য বিভাগ তাঁর নমুনা সংগ্রহ করে। এই ব্যবসায়ীরও করোনার কোনো লক্ষণ বা উপসর্গ ছিল না।

শরণখোলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সরদার মোস্তফা শাহিন বলেন, ঢাকা থেকে ফেরার পর ওই ব্যবসায়ী সার্বক্ষণিক দোকানে না বসলেও দোকান খোলা ছিল। কারা তাঁর সংস্পর্শে এসেছেন, তা জানার চেষ্টা চলছে।

ইউএনও আরও জানান, করোনা শনাক্তের পর উপজেলা সদরের রায়েন্দা বাজার পুরোটা লকডাউন করা হয়েছে। বাজারের সব দোকানপাট বন্ধ থাকবে। আক্রান্ত ব্যক্তি বাজারে তাঁর দোকানের পাশে একটি গোডাউনে আছেন। তিনি সুস্থ এবং স্বাভাবিক আছেন। চিকিৎসকেরা তাঁর খোঁজখবর নিয়েছে। আক্রান্ত ব্যক্তির বাড়ির লোকজন এবং দোকানের কর্মচারীদের কোয়ারেন্টিনে থাকতে বলা হয়েছে।