করোনায় ৪০ হাজার তরুণকে তথ্যপ্রযুক্তি প্রশিক্ষণ দিচ্ছে সরকার: প্রতিমন্ত্রী

সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগের ‘লার্নিং অ্যান্ড আর্নিং ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট’–এর অধীনে তিনটি বিষয়ে ৪০ হাজার প্রশিক্ষণার্থীকে অনলাইনে প্রশিক্ষণ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। আজ রোববার দুপুরে এক অনলাইন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এ প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ।

রোববার বেলা দুইটার দিকে অনলাইন উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শুরু হয়। এতে স্বাগত বক্তব্য দেন ‘লার্নিং অ্যান্ড আর্নিং ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট–এর প্রকল্প পরিচালক আখতার মামুন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ বলেন, যথাযথ প্রশিক্ষণ, উচ্চগতির ইন্টারনেট ও পেমেন্ট গেটওয়ে এ তিনটি বিষয় আইটি ফ্রিল্যান্সারদের খুব প্রয়োজন। সারা দেশে বিভাগীয়, জেলা-উপজেলা এমনকি ৩ হাজার ৫০০ ইউনিয়ন পর্যন্ত উচ্চগতির সুলভ মূল্যের নির্ভরযোগ্য ইন্টারনেট ব্যবহার করে দেশে-বিদেশে বিভিন্ন কোম্পানিতে তাঁরা কাজ করতে পারছেন। ফ্রিল্যান্সাররা দেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখছেন।
প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ আরও বলেন, ২০২৫ সালের মধ্যে আরও ১০ লাখ নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে কাজ করছে সরকার। ভবিষ্যতে দেশের প্রতিটি জেলায় শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং সেন্টার করবে সরকার।
আইসিটি প্রতিমন্ত্রী বলেন, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট ও ডিজাইন, গ্রাফিকস ডিজাইন ও ডিজিটাল মার্কেটিং এ তিনটি বিষয়ে ১৫ ভাগে ভাগ করে এ প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। আইসিটি বিভাগের ফেসবুক পেজ, ইউটিউব, মুক্তপাঠসহ বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে সব কোর্স উপকরণগুলো থাকবে। অনলাইনে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সারা দেশে একই মানের ক্লাস নেওয়া যাবে।
ঘরে বসেই এ প্রশিক্ষণের মাধ্যমে শিক্ষিত বেকার তরুণ-তরুণীদের আত্মকর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে পারবে বলে প্রতিমন্ত্রী আশা আশা প্রকাশ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ২ হাজার ব্যাচের মাধ্যমে ৪০ হাজার প্রশিক্ষণার্থীকে এ অনলাইন প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। প্রতিটি ব্যাচের সেরা ২ জন করে ৪ হাজার প্রশিক্ষণার্থীকে একটি করে ল্যাপটপ পুরস্কার দেওয়া হবে।
এ সময় সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরে প্রতিমন্ত্রী জানান, আইসিটি বিভাগের ফেসবুক পেজ, ওয়েবসাইটসহ বিভিন্নভাবে প্রশিক্ষণ নিতে আগ্রহীদের আবেদন আহ্বান করা হয়। এবার ১ লাখ ৮০ হাজার আবেদনের মধ্যে যাঁদের ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট আছে, তাঁদের অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে।