করোনায় আরও এক পুলিশ সদস্যের মৃত্যু

রঘুনাথ রায়।
রঘুনাথ রায়।

করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়ে আজ বুধবার আরও একজন পুলিশ সদস্য মারা গেছেন। এই পুলিশ সদস্যেদর নাম রঘুনাথ রায় (৪৮)। তিনি সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) হিসেবে ঢাকা মহানগর পুলিশের পাবলিক অর্ডার ম্যানেজমেন্ট (পিওএম) দক্ষিণ বিভাগের আলফা কোম্পানিতে কর্মরত ছিলেন।

পুলিশ সদর দপ্তর জানিয়েছে, রঘুনাথ রায়ের করোনাভাইরাস ধরা পড়ার পর তিনি রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রে (আইসিইউ) স্থানান্তর করা হয়। আজ সকাল আটটা ২০ মিনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

এ নিয়ে করোনায় আজ পর্যন্ত ছয়জন পুলিশ সদস্যের মৃত্যু হয়েছে। এর আগে উপপরিদর্শক (এসআই) সুলতানুল আরেফিন (৪৪), নাজির উদ্দীন, সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) আবদুল খালেক, ট্রাফিক কনস্টেবল আশেক মাহমুদ ও কনস্টেবল জসিম উদ্দিন করোনা ভাইরাসে মারা যান। এ পর্যন্ত যে ছয়জন মারা গেলেন, তাঁরা সবাই ঢাকা মহানগর পুলিশেরই সদস্য।

রঘুনাথ রায়ের গ্রামের বাড়ি লক্ষ্মীপুর জেলায়। তিনি স্ত্রী, এক কন্যা ও এক পুত্র রেখে গেছেন। পুলিশের ব্যবস্থাপনায় রঘুনাথ রায়ের মরদেহ গ্রামের বাড়িতে পাঠানো হয়েছে। সেখানে জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে ধর্মীয় বিধান অনুযায়ী তাঁর মৃত্যু পরবর্তী আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করা হবে।

পুলিশে করোনার সংক্রমণ সংখ্যা বাড়ছেই। গতকাল পর্যন্ত করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন এক হাজার ১৫৩ জন। আক্রান্ত পুলিশ সদস্যরা চারটি মহানগর, ১৮টি জেলা ছাড়াও র‍্যাব, সিআইডি, এসবি মতো ১২টি ইউনিটে কর্মরত।

পুলিশ সদর দপ্তর সূত্র জানায়, আজ সকাল পর্যন্ত সারা দেশে ১ হাজার ১৭৯ জন পুলিশ সদস্যকে কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে। আইসোলেশনে এক হাজার ৬৩ জন। করোনায় সংক্রমিত ৫৮ জন পুলিশ সদস্যকে সুস্থ ঘোষণা করা হয়েছে। সংক্রমিত সদস্যদের মধ্যে ঢাকা মহানগর পুলিশ সদস্য আছেন ৫৭৬জন।

দায়িত্বশীল পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, পুলিশ বাহিনীর সদস্যদের ভেতরে যাতে করোনার সংক্রমণ না হতে পারে, সে কারণে তাদের টহল কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। জীবাণুমুক্ত করাসহ পুলিশ ব্যারাকের আবাসন ব্যবস্থার পরিবর্তন আনা হয়েছে। সব সদস্যকে সুরক্ষাসামাগ্রীও দেওয়া হয়েছে। আক্রান্ত সদস্যদের জন্য কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে রয়েছে সব ধরনের ব্যবস্থা।
পুলিশ সদস্যদের কোয়ারেন্টিনে থাকার জন্য ১১টি আবাসিক হোটেল ভাড়া নেওয়া ছাড়াও ছয়টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আবাসনের ব্যবস্থা করা হয়েছে।