চট্টগ্রাম বন্দরে পণ্য ওঠানো-নামানো বন্ধ

প্রথম আলো ফাইল ছবি।
প্রথম আলো ফাইল ছবি।

ঘূর্ণিঝড় আম্পানের প্রভাবে সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে আজ মঙ্গলবার চট্টগ্রাম বন্দরের জেটিতে থাকা সব জাহাজ সাগরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। এতে সকালেই বন্দরে জাহাজ থেকে পণ্য ওঠানো-নামানো বন্ধ হয়ে গেছে।

বন্দর সূত্র জানায়, আবহাওয়া অধিদপ্তর গতকাল সোমবার ৬ নম্বর বিপদ সংকেত জারি করার পর বন্দর কর্তৃপক্ষ নিজেদের সতর্কতা সংকেত 'অ্যালার্ট-৩' জারি করে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ মাত্রার এই সতর্কতা জারি করার পর বন্দর জেটিতে থাকা সব জাহাজ সাগরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু গতকাল জোয়ারের শেষ সময় থাকায় তিনটি জাহাজ সাগরে পাঠানো হয়। আজ পাঠানো হয় ১৫টি।

চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ারম্যান এস এম আবুল কালাম আজাদ আজ দুপুরে প্রথম আলোকে বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের সময় জেটিতে জাহাজ থাকলে ক্ষয়ক্ষতির শঙ্কা বেশি। এ কারণে জেটিতে থাকা সব জাহাজই সাগরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। পণ্য ওঠানো-নামানো বন্ধ হলেও বন্দর চত্বর থেকে পণ্য খালাস চালু রাখা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় থেকে বন্দরের জেটি, যন্ত্রপাতি ও পণ্য সুরক্ষার সব পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।

বন্দর কর্মকর্তারা জানান, বহির্নোঙরে এখন ১৫২টি জাহাজ রয়েছে। এসব জাহাজ একটি থেকে আরেকটি নিরাপদ দূরত্বে রয়েছে। এর মধ্যে ৫২টি জাহাজ ইতিমধ্যে কুতুবদিয়ায় গভীর সাগরে নেওয়া হয়েছে। লাইটার জাহাজগুলো কর্ণফুলী নদীর শাহ আমানত সেতুর উজানে রাখা হয়েছে।

১৯৯২ সালে বন্দর কর্তৃপক্ষের প্রণীত ঘূর্ণিঝড়-দুর্যোগ প্রস্তুতি এবং ঘূর্ণিঝড়-পরবর্তী পুনর্বাসন পরিকল্পনা অনুযায়ী, আবহাওয়া অধিদপ্তরের সংকেত অনুযায়ী চার ধরনের সতর্কতা জারি করে বন্দর। আবহাওয়া অধিদপ্তর ৩ নম্বর সংকেত জারি করলে বন্দর প্রথম পর্যায়ের সতর্কতা বা 'অ্যালার্ট-১' জারি করে। ৪ নম্বর সংকেতের জন্য বন্দর 'অ্যালার্ট-২' জারি এবং বিপদ সংকেত ৫, ৬ ও ৭ নম্বরের জন্য 'অ্যালার্ট-৩' জারি করা হয়। মহাবিপদ সংকেত ৮, ৯ ও ১০ হলে বন্দরেও সর্বোচ্চ সতর্কতা বা 'অ্যালার্ট-৪' জারি করা হয়।