বাগেরহাটে আম্পানের প্রভাবে বৃষ্টি শুরু

ঘূর্ণিঝড় আম্পানের প্রভাবে বাগেরহাটে শুরু হয়েছে বৃষ্টিপাত। আজ মঙ্গলবার দুপুরে সদরের ভৈরব নদের পাড়ে। প্রথম আলোা
ঘূর্ণিঝড় আম্পানের প্রভাবে বাগেরহাটে শুরু হয়েছে বৃষ্টিপাত। আজ মঙ্গলবার দুপুরে সদরের ভৈরব নদের পাড়ে। প্রথম আলোা

ঘূর্ণিঝড় ‘আম্পান’–এর প্রভাবে উপকূলীয় জেলা বাগেরহাটে দুপুর থেকে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সকাল থেকেই জেলায় আকাশ মেঘলা ছিল। তবে দুপুর থেকে বৃষ্টি শুরু হয়েছে জেলাজুড়ে। বলা হচ্ছে, ২০০৭ সালের উপকূলে আঘাত হানা প্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড় সিডরের চেয়ে অধিক গতি নিয়ে ধেয়ে আসছে আম্পান।

এর আগে গতকাল সোমবার বিকেলে ৭ নম্বর বিপৎসংকেত জারির পর থেকেই জেলায় সতর্কতামূলক মাইকিং শুরু হয়। খুলে দেওয়া হয়েছে আশ্রয়কেন্দ্রগুলো। আজ বেলা ১১টার দিকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে দুর্যোগ প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় জানানো হয়, আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে প্রয়োজনীয় বিশুদ্ধ পানি ও শুকনা খাবার প্রস্তুত রাখা হয়েছে। করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে নিয়মিত আশ্রয়কেন্দ্রের পাশাপাশি বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও ব্যবহার উপযোগী ভবনকেও আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহারের সিদ্ধান্ত হয়েছে।

ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে দুপুর থেকে বৃষ্টি শুরু হওয়ায় উপকূলের মানুষের কাছে আতঙ্ক আরও বেড়েছে। সিডর বিধ্বস্ত জেলার শরণখোলা উপজেলার সাউথখালী ইউনিয়নের গাবতলা এলাকায় বেড়িবাঁধের প্রায় দুই কিলোমিটার অংশ ঝুঁকিপূর্ণ। ঝড়ের সঙ্গে জলোচ্ছ্বাসের সম্ভাবনা থাকায় ওই এলাকায় বড় ক্ষতির আশঙ্কা করছেন স্থানীয় ব্যক্তিরা।

গাবতলা এলাকার বাসিন্দা মো. ইসমাইল বলেন, বেড়িবাঁধের কাজ চলছে তিন-চার বছর ধরে। এখনো এর কাজ শেষ হয়নি। দুই সপ্তাহ আগেও বাঁধ ভেঙেছে। এখন আম্পানের প্রভাবে হওয়া বৃষ্টিপাতে এই এলাকা ভেসে যাবে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) বাগেরহাট কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী নাহিদ-উজ-জামান খান প্রথম আলোকে বলেন, জেলার মোংলা উপজেলাতে কোনো বেড়িবাঁধ নেই। এ ছাড়া রামপাল ও মোরেলগঞ্জ উপজেলার কিছু অংশে বেড়িবাঁধ নেই। অতিরিক্ত জোয়ারে এসব এলাকা প্লাবিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। শরণখোলাসহ অন্যান্য এলাকা মিলেয়ে জেলায় বেড়িবাঁধের ৩টি অংশ বেশি ঝুঁকিপূর্ণ।