ঘূর্ণিঝড় আম্পানে বরগুনায় থাকবে যুদ্ধজাহাজ

ঘূর্ণিঝড় আম্পান মোকাবিলায় বরগুনায় মানুষকে নিরাপদে রাখতে ৬১০টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে। এ ছাড়া ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী উদ্ধার ও ত্রাণ তৎপরতা পরিচালনার জন্য একটি যুদ্ধজাহাজ ও একটি ল্যান্ডিং ক্রাফট মোতায়েন করা হয়েছে।

ঘূর্ণিঝড় আম্পানে প্রাণহানি কমাতে বরগুনার উপকূলবর্তী বাসিন্দাসহ ঝুঁকিপূর্ণ স্থানের মানুষদের সন্ধ্যার আগেই আশ্রয়কেন্দ্রে নেওয়া হবে। আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে আশ্রয় নেওয়া সাধারণ মানুষের জন্য ইফতারসহ রাতের খাবার এবং সেহরির আয়োজন করবে জেলা প্রশাসন।

জেলা প্রশাসক কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ঘূর্ণিঝড় আম্পান মোকাবিলায় ইতিমধ্যে বরগুনাযর ছয়টি উপজেলায় ২৫ লাখ টাকা ও ২০০ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। জেলায় স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসাসহ বহুতল ভবনকে আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এসব আশ্রয়কেন্দ্রে প্রায় তিন লাখ স্থানীয় অধিবাসী ও ২০ হাজার গবাদি পশু-পাখিকে আশ্রয় দেওয়া যাবে। আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে সামাজিক দূরত্ব মানতে বাধ্য করা হবে মানুষজনকে।

জেলায় কৃষকের উৎপাদিত বোরো ধানের মধ্যে ৮০ ভাগ ধান ইতিমধ্যেই ঘরে তোলা সম্ভব হয়েছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড বরগুনা কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী কায়সার আহমেদ বলেন, জেলায় ৯০০ কিলোমিটার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ রয়েছে। এর মধ্যে ২০ কিলোমিটার বাঁধ ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছে। ইতিমধ্যেই ঝুঁকিপূর্ণ বাঁধ সংস্কার করার জন্য চারটি দল গঠন করা হয়েছে।

বরগুনায় নৌবাহিনীর দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইমরান বলেন, 'করোনাভাইরাস মোকাবিলায় আমরা বরগুনাবাসীর পাশে ছিলাম। ঘূর্ণিঝড় আম্পানের সময়ও আমরা বরগুনাবাসীর পাশে থাকব। ইতিমধ্যে নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাজ উপকূলের বিভিন্ন স্থানে মোতায়েন করা হয়েছে, উদ্ধার তৎপরতা ও ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রমের জন্য। এসব জাহাজের মধ্যে একটি জাহাজ বরগুনায় থাকবে। এ ছাড়া বরগুনায় একটি ল্যান্ডিং ক্রাফট (সামরিক উভচর বাহন) মোতায়ন করা হয়েছে।'

বরগুনার জেলা প্রশাসক মোস্তাইন বিল্লাহ প্রথম আলোকে বলেন, 'দুর্গত এলাকা থেকে মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে আসার জন্য নির্দেশনা দিয়ে দিয়েছি। সবাইকে নিরাপদে রাখার জন্য জেলায় ৬১০টি আশ্রয়কেন্দ্র আমরা প্রস্তুত রেখেছি। আমাদের জেলায় ২০টি চিকিৎসা দল প্রস্তুত রাখা হয়েছে এবং ৬টি উপজেলায় ৬টি নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা হয়েছে। আমরা সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে জেলাজুড়ে মাইকিং করছি।'