পটুয়াখালীতে সাড়ে ৩ লাখ মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে, নিম্নাঞ্চল প্লাবিত

ঘূর্ণিঝড় আম্পানের প্রভাবে জোয়ারে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। খালগোড়া এলাকা, রাঙ্গাবালী, পটুয়াখালী, ২০ মে। ছবি: সংগৃহীত
ঘূর্ণিঝড় আম্পানের প্রভাবে জোয়ারে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। খালগোড়া এলাকা, রাঙ্গাবালী, পটুয়াখালী, ২০ মে। ছবি: সংগৃহীত

ঘূর্ণিঝড় আম্পানের কারণে উপকূলীয় জেলা পটুয়াখালীতে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া দেখা দিয়েছে। এরই মধ্যে জেলার প্রায় সাড়ে তিন লাখ মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে ঠাঁই নিয়েছেন। প্রায় এক লাখ গবাদিপশুকে ইতিমধ্যে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। নিম্নাঞ্চল হয়েছে প্লাবিত।

আজ বুধবার সকালে জনগণকে আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার জন্য নৌকা নিয়ে মাইকিং করতে বের হন কলাপাড়া উপজেলার ধানখালী ইউনিয়নের ৬ নম্বর ইউনিটের ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচির দলনেতা শাহ আলম। ঝড়ো বাতাসে নৌকা ডুবে গেলে তিনি নিখোঁজ হন। শাহ আলম সিপিপির স্বেচ্ছাসেবক।

আম্পানের প্রভাবে জোয়ারের কারণে জেলার রাঙ্গাবালী উপজেলার নিম্নাঞ্চল তিন থেকে চার ফুট উচ্চতায় প্লাবিত হয়েছে। বেশ কয়েকটি বেড়িবাঁধ উপচে পানি লোকালয়ে প্রবেশ করেছে। রাঙ্গাবালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাশফিকুর রহমান বলেন, চরমোন্তাজ ও চরআন্ডাসহ নিম্নাঞ্চলের মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। তাঁদের ট্রলারে করে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে।

রাঙ্গাবালী উপজেলার চর কানকুনি, চর কাসেম, চর যুমুনা, চার মাদারবুনিয়া, মাঝের চর, চর আন্ডা, চরমোন্তাজ, চালিতাবুনিয়াসহ নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড পটুয়াখালীর নির্বাহী প্রকৌশলী মোহামদ হাসানুজ্জামান বলেন, সকালে জোয়ারের সময় নদ-নদীর পানি বিপৎসীমা ছুঁই ছুঁই ছিল। তবে বিকেলের জোয়ারেও পানি বাড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।