মঠবাড়িয়ায় বেড়িবাঁধ ভেঙে প্লাবিত

মাঝের চরের বেড়িবাঁধ ভেঙে লোকালয় ও ফসলের জমি প্লাবিত হয়েছে। মঠবাড়িয়া, পিরোজপুর, ২০ মে। ছবি: এ কে এম ফয়সাল
মাঝের চরের বেড়িবাঁধ ভেঙে লোকালয় ও ফসলের জমি প্লাবিত হয়েছে। মঠবাড়িয়া, পিরোজপুর, ২০ মে। ছবি: এ কে এম ফয়সাল

পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার বলেশ্বর নদের মাঝের চরে বেড়িবাঁধ ভেঙে লোকালয় ও ফসলের জমি প্লাবিত হয়েছে। আজ বুধবার সকালে জোয়ারের পানিতে চরের দক্ষিণ–পশ্চিম প্রান্তে বেড়িবাঁধের ১৫০ ফুট ভেঙে গেছে। এতে চরের এক শ একর জমির রবিশস্য ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।

স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা ও ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সূত্রে জানা যায়, উপজেলার বেতমোর রাজপাড়া ইউনিয়নের মাঝের চরে ২২০টি পরিবার বসবাস করে। তাদের পেশা কৃষি ও মাছ ধরা। ইউপির অর্থায়নে চরে ছয় কিলোমিটার বেড়িবাঁধ নির্মাণ করা হয়। বন্যা ও জোয়ারের পানি থেকে চরের কৃষি সুরক্ষার জন্য এই বাঁধ নির্মাণ করা হয়েছিল। বর্তমানে চরে মিষ্টিকুমড়া, মুগ ডাল, মিষ্টি আলু, আলু, মরিচ, তরমুজ, বাঙ্গির আবাদ রয়েছে। আজ সকালে বলেশ্বর নদে জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পায়। সকাল নয়টার দিকে পানির চাপে চরের দক্ষিণ–পশ্চিম প্রান্তে নজরুল ইসলামের বাড়িসংলগ্ন বেড়িবাঁধের ১৫০ ফুট ভেঙে যায়। এতে চরের ভেতরে পানি ঢুকে ফসলি জমি প্লাবিত হয়েছে। আর চরের বাসিন্দারা ঠাঁই নিয়েছেন দুটি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্রে। খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ঊর্মি ভৌমিক ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) রিপন বিশ্বাস মাঝের চর পরিদর্শন করেন।

বেতমোর রাজপাড়া ইউপির ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য শহিদুল ইসলাম বলেন, বলেশ্বর নদের পানি স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে দুই থেকে তিন ফুট বেড়েছে। বাঁধ ভেঙে চরের মধ্যে পানি ঢুকে রবি ফসলের খেত তলিয়ে গেছে। কিছু বাড়িঘর হয়েছে প্লাবিত। কৃষকেরা পানিতে তলিয়ে যাওয়া কিছু ফসল ঘরে তুলতে পারলেও বেশির ভাগ ফসল নষ্ট ও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

দুর্গত এলাকা পরিদর্শন শেষে দুপুরে ইউএনও ঊর্মি ভৌমিক বলেন, বাঁধ ভেঙে চরের ফসলি জমি প্লাবিত হয়েছে। এতে এক শ একর জমির প্রায় ৫০ লাখ টাকার রবিশস্য ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।