আম্পানে প্রাথমিকভাবে ১০ জনের প্রাণহানির খবর

ঘূর্ণিঝড় আম্পানের তাণ্ডবে খুলনার কয়রা উপজেলার চারটি ইউনিয়নের বাঁধ ভেঙে প্লাবিত হয় গ্রামগুলো। কয়রা উপজেলা, খুলনা, ২১ মে। ছবি: সাদ্দাম হোসেন
ঘূর্ণিঝড় আম্পানের তাণ্ডবে খুলনার কয়রা উপজেলার চারটি ইউনিয়নের বাঁধ ভেঙে প্লাবিত হয় গ্রামগুলো। কয়রা উপজেলা, খুলনা, ২১ মে। ছবি: সাদ্দাম হোসেন

ঘূর্ণিঝড় আম্পানের আঘাতে প্রাথমিকভাবে গতকাল বুধবার পর্যন্ত ১০ জন মারা যাওয়ার তথ্য জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমাজের্ন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম। তবে এর মধ্যে ছয়জনের পরিচয় জানা গেছে।

আজ বৃহস্পতিবার এই তথ্য জানানো হয়েছে। হেলথ ইমাজের্ন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের সহকারী পরিচালক ডা. আয়শা আক্তার প্রথম আলোকে এই তথ্য জানান।

নিহতদের মধ্যে যাদের পরিচয় জানা গেছে তাদের মধ্যে পটুয়াখালীর কলপাড়ায় সৈয়দ শাহ আলম (৫৪) নামে এক স্বেচ্ছাসেবী নৌকাডুবে মারা যান। গাছচাপা পড়ে মারা গেছে একই জেলার গলাচিপার পানপট্টি এলাকার রাশেদ (৫) ও ভোলার চরফ্যাশনের মো.সিদ্দিক ফকির (৭২)। ট্রলারডুবে মারা গেছেন ভোলার বোরহানউদ্দিনের রফিকুল ইসলাম (৩৫)। এ ছাড়া দেয়াল চাপা পড়ে মারা গেছেন পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ার শাহজাহান মোল্লা (৫৫)। আর চট্টগ্রামের সন্দ্বীপে সালাউদ্দীন (১৬) নামে একজন মারা গেছেন।

এ ছাড়া যশোরের চৌগাছায় দুজন, সাতক্ষীরায় একজন ও ঝিনাইদহে একজন মারা গেছেন।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের ঊধ্বর্তন এক কর্মকর্তা প্রথম আলোকে বলেন, প্রকৃত ক্ষয়ক্ষতির হিসেব পেতে একটু সময় লাগবে। সব জেলা প্রশাসনের কাছ থেকে তথ্য নিয়ে তারা পূর্ণাঙ্গ তথ্য জানাবেন।

গতকাল বুধবার সারা রাত তাণ্ডব চালানোর পর ঘূর্ণিঝড় আম্পান এখন একেবারেই দুর্বল হয়ে গেছে। আজ বৃহস্পতিবার ভোরের দিকে ঘূর্ণিঝড় আম্পান স্থল নিম্নচাপে পরিণত হয়ে আরও উত্তর–পূর্ব দিকে সরে গেছে। আজ সকালে আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক সামছুদ্দীন আহমেদ প্রথম আলোকে এই তথ্য জানান।