সাতক্ষীরায় বাঁধ ভেঙেছে ২৩টি স্থানে

বাঁধ ভেঙে পানি ঢুকে পড়েছে লোকালয়ে। আজ সাতক্ষীরার শ্যামনগরের বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নে। ছবি: প্রথম আলো
বাঁধ ভেঙে পানি ঢুকে পড়েছে লোকালয়ে। আজ সাতক্ষীরার শ্যামনগরের বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নে। ছবি: প্রথম আলো

ঘূর্ণিঝড় আম্পানের আঘাতে সাতক্ষীরার সাতটি উপজেলায় ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। শ্যামনগর, কালীগঞ্জ, আশাশুনি ও সদর উপজেলায় ২৩টি স্থানে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) বাঁধ ভেঙে ৫০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এর মধ্যে শুধু শ্যামনগরে প্লাবিত হয়েছে ২৫টি গ্রাম। অসংখ্য মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে।

শ্যামনগরের সঙ্গে সাতক্ষীরা জেলা শহরের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। রাস্তায় পড়ে আছে অসংখ্য গাছ। বিধ্বস্ত হয়েছে ৫০০-৭০০ কাঁচা ঘরবাড়ি। মারা গেছেন এক নারী।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের সাতক্ষীরা কার্যালয়ের পরিদর্শক জুলফিকার আলী জানিয়েছেন, সর্বোচ্চ ১৪৮ কিলোমিটার বেগে ঝড় বয়ে গেছে জেলার ওপর দিয়ে। ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টি হয়েছে ৭২ দশমিক ৪ মিলিমিটার।

পাউবো সাতক্ষীরা-১ এর নির্বাহী প্রকৌশলী আবুল খায়ের ও সাতক্ষীরা-২ এর নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফুজ্জামান জানিয়েছেন, ২০ থেকে ২৫টি জায়গায় বাঁধ ভেঙে যাওয়ার খবর তাঁরা পেয়েছেন। ইতিমধ্যে কয়েকটি জায়গায় বাঁধ মেরামতের চেষ্টা করা হচ্ছে।

জেলা প্রশাসক এস এম মোস্তফা কামাল জানান, ঝড়ে সাতক্ষীরা শহর লন্ডভন্ড হয়ে গেছে। অনেক বিদ্যুতের খুঁটি ও গাছপালা উপড়ে পড়েছে। অনেক টিনচালার ঘর উড়ে গেছে। সাতটি উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তাদের (ইউএনও) ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করতে বলা হয়েছে। বাঁধ মেরামতে পাউবোকে সহযোগিতা করতে বলা হয়েছে সেনাবাহিনীকে।

এদিকে গতকাল রাতে সাতক্ষীরার সদর উপজেলার কামালনগরে ঝড়ের সময় আম কুড়াতে গিয়ে গাছের ডাল ভেঙে করিমুন বিবি (৪০) নামের এক নারীর মৃত্যু হয়েছে।