ফরিদপুরে ৩৩৩২টি নমুনা পরীক্ষায় ১৯৭ জনের করোনা শনাক্ত

করোনাভাইরাস। ছবি: রয়টার্স
করোনাভাইরাস। ছবি: রয়টার্স

ফরিদপুরে পিসিআর (পলিমারেজ চেইন রিঅ্যাকশন) ল্যাবের এক মাস পূর্ণ হয়েছে গত মঙ্গলবার। এক মাসে এই ল্যাবে মোট ৩ হাজার ৩৩২টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এর মধ্যে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে ১৯৭ জনের। সে হিসাবে প্রতিদিন গড় শনাক্তের হার প্রায় ছয়জন।

ফরিদপুর মেডিকেল কলেজের চতুর্থ তলায় করোনা পরীক্ষার জন্য পিসিআর ল্যাব স্থাপন করা হয়েছে। গত ২০ এপ্রিল থেকে এ ল্যাবে পরীক্ষা শরু হয়। ওই দিন ফরিদপুরের বিভিন্ন উপজেলা থেকে প্রাপ্ত ৫৭টি নমুনা পরীক্ষা করার মধ্য দিয়ে যাত্রা শুরু করে ল্যাবটি। প্রথম দিন একজনের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। ২২ এপ্রিল থেকে এই ল্যাবে ফরিদপুরের সঙ্গে গোপালগঞ্জের নমুনাও পরীক্ষা শুরু হয়েছে।

প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে ল্যাবে নমুনা পরীক্ষা শুরু হয়। একবারে ৯৪টি নমুনা পরীক্ষা করা সম্ভব। এই ল্যাবে এ পর্যন্ত এক দিনে সর্বোচ্চ ২৭০টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এটি হয়েছে ১৭ মে। ওই দিন মোট তিন দফায় এ পরীক্ষা করা হয়েছে। এ ল্যাবে নমুনা না পাওয়ায় সবচেয়ে কম পরীক্ষা করা হয়েছে ৯ মে। ওই দিন মাত্র আটটি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। আটটি নমুনার মধ্যে পাঁচটি ফরিদপুরের আর তিনটি গোপালগঞ্জের।

২০ এপ্রিল থেকে ১৯ মে পর্যন্ত এক মাসে এই ল্যাবে মোট ৩ হাজার ৩৩২টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে ফরিদপুরের ১ হাজার ৭৩৩টি। ওই সময়ে গোপালগঞ্জের নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ১ হাজার ৫৯৯টি। এর মধ্যে ফরিদপুরে রোগী শনাক্ত হয়েছে ১০২ জন। আর গোপালগঞ্জ থেকে প্রাপ্ত নমুনা পরীক্ষা করে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে ৯৫ জনের।

ল্যাব পরিচালনার জন্য তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির প্রধান হলেন কলেজের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের অধ্যাপক আশরাফুল আলম, প্যাথলজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান মো. ওয়াদুদ মিয়া ও বায়োকেমিস্ট্রি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান রেজাউল কাদের।

কমিটির তিন সদস্য ছাড়াও এ ল্যাবে শুরুতে কাজে নিয়োজিত ছিলেন সাতজন মেডিকেল টেকনোলজিস্ট। বর্তমানে মোট ৭ জন চিকিৎসক, ১৪ জন টেকনোলজিস্ট, ৫ জন ল্যাব অ্যাসিস্ট্যান্ট কাজ করছেন। আর ডেটা এন্ট্রি কাজের জন্য যুক্ত রয়েছেন আরও ১২ জন।

ল্যাব কমিটির প্রধান কলেজের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের অধ্যাপক আশরাফুল আলম প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা সীমাবদ্ধতার ভেতরে থেকেই কাজ করে যাচ্ছি। অনেক সমস্যা আছে। সে সমস্যা আমরা আমলে রাখি না, কাজে যখন নেমেছি, তখন আমাদের কাছে কাজটাই মুখ্য। প্রকৃতপক্ষে এ কাজটি আমরা একটা মানবিক চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছি।’