স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে বেক্সিমকোর করোনার ওষুধ

দেশে কোভিড-১৯ রোগের চিকিৎসায় রেমডেসিভির ওষুধ যুক্ত করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তবে এই ওষুধ কেবল মুমূর্ষু রোগীদের জন্য অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালের পক্ষ থেকে মন্ত্রীর হাতে রেমডেসিভির ওষুধ দান হিসেবে তুলে দেওয়ার সময় স্বাস্থ্যমন্ত্রী এ কথা বলেন। বেক্সিমকোর ওষুধের বাণিজ্যিক নাম বেমসিভির।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, দেশে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর ছয়টি কোম্পানিকে কোভিড-১৯ চিকিৎসার ওষুধ প্রস্তুত করতে প্রাথমিকভাবে অনুমতি দিয়েছে। ওষুধগুলো আরও ভালোভাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার পরই বাজারজাত করতে হবে।

রেমডেসিভিরের উদ্ভাবক যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক প্রতিষ্ঠান গিলিয়াড সায়েন্সেস। এটি একটি ইনজেকশন। মূলত ভাইরাসের সংক্রমণ চিকিৎসায় এর আগে ওষুধটি ব্যবহৃত হয়েছিল। ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান এসকেএফ ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডও রেমডেসিভির উৎপাদন করছে। তাদের ওষুধের বাণিজ্যিক নাম রেমিভির।

গতকালের অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘কোভিড-১৯ রোগীর জন্য এখনো সেভাবে কোনো ভ্যাকসিন পৃথিবীতে তৈরি হয়নি এবং কোনো ওষুধও সেভাবে তৈরি হয়নি, যেটি খেলে করোনাভাইরাস থেকে মুক্তি পাবে। বেশ কিছু ওষুধ বাজারে আসছে।

এটিও একটি। সব ওষুধই কিছু কিছু কাজ করে। কিন্তু শতভাগ কাজ কোনো ওষুধেই এখনো সেভাবে হচ্ছে না। কিন্তু চিকিৎসকেরা কিছু ওষুধ তাঁদের প্রটোকলে নিয়েছেন। আশা করি এটিও প্রটোকলে নিয়ে নেবেন।’

জাহিদ মালেক আরও বলেন, এই ওষুধ ব্যবহারের বিষয়টি বিশেষজ্ঞরা নির্ধারণ করবেন। যুক্তরাষ্ট্রে মুমূর্ষু রোগীদের ক্ষেত্রেই এটির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। একই ধারায় বাংলাদেশেও মুমূর্ষু রোগীদের জন্য ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর এই ওষুধের অনুমোদন দিয়েছে। মুমূর্ষু ও জটিল রোগীদের এই ওষুধ দেওয়া হবে। সিদ্ধান্তগুলো অবশ্যই বিশেষজ্ঞ ও চিকিৎসকেরা নেবেন।

অনুষ্ঠানে বেক্সিমকো ফার্মার ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজমূল হাসান বলেন, ‘সব সরকারি হাসপাতালে রোগীদের বিনা মূল্যে চিকিৎসা দেওয়া হয়। এ কারণে আমরা সরকারি হাসপাতালের গুরুতর অসুস্থ রোগীদের জন্য বিনা মূল্যে বেমডিসির প্রদানের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’

 অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক এ বি এম আবদুল্লাহ, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. আসাদুল ইসলাম, স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আলী নূর, ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. মাহবুবুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।