'বন্দুকযুদ্ধে' শিশু ধর্ষণ ও হত্যা মামলার আসামি নিহত

বন্দুকযুদ্ধ। প্রতীকী ছবি
বন্দুকযুদ্ধ। প্রতীকী ছবি

গাজীপুরের টঙ্গীতে র‌্যাবের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ শিশু ধর্ষণ ও হত্যার মামলার প্রধান আসামি নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার রাতে টঙ্গীর মধুমিতা রোড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহত আসামি হলেন আবু সুফিয়ান (২১)। তিনি ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার মুনসুরাবাদ এলাকার সাইফুল ইসলামের ছেলে। সুফিয়ান টঙ্গীর মধুমিতা দরবার শরিফ এলাকায় বসবাস করতেন।

র‌্যাব-১–এর কোম্পানি কমান্ডার আবদুল্লাহ আল মামুন জানান, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের টঙ্গীর মধুমিতা বেলতলা এলাকায় ১৫ মে বিকেলে এক ভাড়াটিয়ার সাত বছরের মেয়েকে ইটের স্তূপের আড়ালে নিয়ে ধর্ষণ করার অভিযোগ ওঠে আবু সুফিয়ান ও এক কিশোরের বিরুদ্ধে। এতে শিশুটি জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। পরে ওই দুজন শিশুটির গলাটিপে ও দুই পায়ে আঘাত করে হত্যা করেন। ১৬ মে শিশুটির লাশ টঙ্গীর মধুমিতা রেলগেট এলাকার ময়লার স্তূপ থেকে উদ্ধার করে টঙ্গী পূর্ব থানা-পুলিশ।

এ ঘটনায় শিশুটির বাবা বাদী হয়ে টঙ্গী পূর্ব থানায় মামলা করেন ও র‌্যাবের কাছেও অভিযোগ করেন। ১৮ মে কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার কুমড়ি গ্রামের এক কিশোর গ্রেপ্তার হয়। পরে সে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। তার দেওয়া তথ্যমতে, বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১১টার দিকে টঙ্গীর মধুমিতা রোড এলাকায় সুফিয়ানকে গ্রেপ্তারে অভিযানে যায় র‍্যাব। র‌্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে সুফিয়ান ও তাঁর সহযোগীরা র‌্যাবের উদ্দেশ্যে গুলি ছুঁড়ে পালানো চেষ্টা করেন। র‌্যাবও পাল্টা গুলি ছুড়লে সুফিয়ান গুলিবিদ্ধ হন। অন্যরা পালিয়ে যান। আহত অবস্থায় সুফিয়ানকে উদ্ধার করে স্থানীয় শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

র‌্যাব জানায়, ঘটনাস্থল থেকে তিনটি গুলিসহ একটি বিদেশি পিস্তল উদ্ধার করা হয়েছে।