ঈদ জামাতের আগে-পরে ডিএমপির ১৪ নির্দেশনা

প্রথম আলোর ফাইল ছবি
প্রথম আলোর ফাইল ছবি

মসজিদের অজুখানা ব্যবহার না করে প্রত্যেককে নিজ বাসা থেকে অজু করে নামাজে যেতে হবে। প্রত্যেক মুসল্লি নিজ দায়িত্বে জায়নামাজ নিয়ে যাবেন। মসজিদে সংরক্ষিত জায়নামাজ ও টুপি ব্যবহার করা যাবে না।

পবিত্র ঈদুল ফিতরের জামাতে নামাজ আদায়ের আগে ও পরে এমন ১৪ নির্দেশনা দিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম। আজ শুক্রবার তিনি এই নির্দেশনা দেন।

ডিএমপি সদর দপ্তরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, চাঁদ দেখা সাপেক্ষে ২৫ মে ঈদুল ফিতর উদযাপিত হতে পারে। মহামারি করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে ঈদগাহ বা উন্মুক্ত স্থানে ঈদুল ফিতরের নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হবে না। এই ক্ষেত্রে মুসল্লিরা জীবনের ঝুঁকি বিবেচনা করে ঈদের নামাজের জামাত খোলা জায়গার পরিবর্তে কাছের মসজিদে অনুষ্ঠিত হবে। প্রয়োজনে একই মসজিদে একাধিক জামাতের ব্যবস্থা করা যেতে পারে।

ডিএমপি কমিশনারের নির্দেশনায় বলায় হয়, ঈদের নামাজের জামাতের আগে সম্পূর্ণ মসজিদ জীবাণুনাশক দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে। জামাতের সময় মসজিদে কার্পেট বিছানো যাবে না। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধ নিশ্চিত করতে মসজিদের প্রবেশপথে সাবান–হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখতে হবে। বাসায় অজু করার সময় কমপক্ষে ২০ সেকেন্ড সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে। ঈদের নামাজের জামাতে আসা মুসল্লিদের অবশ্যই মাস্ক পরে মসজিদে আসতে হবে। নামাজ আদায়ের সময় কাতারে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে দাঁড়াতে হবে। এক কাতার পরপর কাতারবদ্ধ হতে হবে। করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে মসজিদে জামাত শেষে কোলাকুলি এবং পরস্পর হাত মেলানো থেকে বিরত থাকতে হবে।

ডিএমপি কমিশনারের নির্দেশনায় আরও আছে, মসজিদে শৃঙ্খলার সঙ্গে প্রবেশ ও বের হওয়ার সময় মসজিদ কমিটিকে পৃথক ব্যবস্থা রাখতে হবে। আত্মীয়স্বজন ও প্রতিবেশীদের বাসায় যাতায়াত থেকে বিরত থাকতে হবে। ঈদের দিন ও পরে বিনোদন কেন্দ্রে না গিয়ে নিজ ঘরে অবস্থান করে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করতে পারেন। ঈদ উদযাপনে যাঁরা ঢাকার বাইরে যাবেন, তাঁরা প্রত্যেকের বাসা বা ফ্ল্যাটের প্রধান ফটকে অটোলক ব্যবহার করতে হবে। বাসা-বাড়ি ছেড়ে যাওয়ার আগে কক্ষের দরজা–জানালার সঠিকভাবে তালা লাগান। মালিকপক্ষ থেকে মার্কেট–শপিং মলের নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করার পাশপাশি কাছের থানা–ফাঁড়ির সঙ্গে যোগাযোগ রাখবে। খালি বাসায় মূল্যবান সামগ্রী না রেখে ঢাকায় অবস্থান করছেন, এমন আত্মীয়স্বজনদের বাসায় তা রেখে যান।

মহামারি করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ঈদুল ফিতর উদযাপন করতে ডিএমপির পক্ষ থেকে ধর্মপ্রাণ নাগরিকদের অনুরোধ জানানো হয়েছে।