বরগুনায় ২০৬ হেক্টরের রবি শস্য নষ্ট

ঘূর্ণিঝড় আম্পানের প্রভাবে বাঁধ ভেঙে লোকালয় পানি ঢুকছে। বৃহস্পতিবার বরগুনা সদর উপজেলার মাইঠা গ্রামে। ছবি: মোহাম্মদ রফিক
ঘূর্ণিঝড় আম্পানের প্রভাবে বাঁধ ভেঙে লোকালয় পানি ঢুকছে। বৃহস্পতিবার বরগুনা সদর উপজেলার মাইঠা গ্রামে। ছবি: মোহাম্মদ রফিক

ঘূর্ণিঝড় আম্পানের প্রভাবে সৃষ্ট জলোচ্ছ্বাসে বরগুনায় জেলায় রবি ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এতে ৩ হাজার ৪৫ জন কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। তাঁদের ক্ষতি হওয়া ফসলের বাজারমূল্য প্রায় ৬ কোটি ১৬ হাজার টাকা।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বরগুনা কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, এ বছর জেলায় ১৬ হাজার ৫৮৪ হেক্টর জমিতে রবি শস্যের আবাদ হয়েছে। এর মধ্যে ঘূর্ণিঝড় আম্পানে ২০৬ হেক্টর জমির ফসল নষ্ট হয়ে গেছে।

শুক্রবার বরগুনা সদর উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে ঘুরে দেখা যায়, বুড়িরচর ইউনিয়নের হাজারবিঘা, খাজুরতলা, সোনার বাংলা, কুমরাখালিতে খেতে পানি ঢুকে ফসল তলিয়ে গেছে। স্থানীয় ব্যক্তিরা পানিতে তলিয়ে যাওয়া ফসল তুলে নিচ্ছেন। সদরের বুড়িরচর ইউনিয়নের হাজারবিঘা গ্রামের বাসিন্দা নুরুল হক এ বছর ১০ শতাংশ জমিতে মরিচ চাষ করেছিলেন। প্রতিবছর চার থেকে পাঁচ মণ মরিচ ঘরে তোলেন তিনি। নুরুল হক বলছিলেন, এ বছর নিজেদেরই মরিচ কিনে খেতে হবে।

খেজুরতলা গ্রামের কৃষক নাসিরুদ্দিন বলেন, ‘২০ শতাংশ জমিতে চীনাবাদাম আবাদ করেছিলাম। ফলনও ভালো হয়েছিল। তাই যে আশায় বুক বেঁধেছিলাম, ঘূর্ণিঝড় তা ভেঙে দিয়েছে।’

আমতলী উপজেলা ২৩০ হেক্টর জমির মরিচ, চীনাবাদাম, তিল ঘূর্ণিঝড়ে নষ্ট হয়ে গেছে। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক এস এম বদরুল আলম প্রথম আলোকে বলেন, ঘূর্ণিঝড়ে জেলায় রবি শস্যের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের তালিকা করে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।