'এই চাইল-ডাইল কয়টা এখন ফুটোয় দেব মেয়েডারে'

ভোলা সদর উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের মেঘনাপাড়ে শুক্রবার বিকেলে প্রথম আলো ট্রাস্টের ত্রাণ বিতরণ: ছবি: প্রথম আলো
ভোলা সদর উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের মেঘনাপাড়ে শুক্রবার বিকেলে প্রথম আলো ট্রাস্টের ত্রাণ বিতরণ: ছবি: প্রথম আলো

ঘূর্ণিঝড় আম্পানের গোটা রাত মেয়েকে বুকের মধ্যে জড়িয়ে ছিলেন জাহানুর বেগম। ওই রাতে ঘরের মধ্যে পানি উঠে সব ভিজে যায়। জাহানুর বললেন, ‘সকালে কয়টা শাক তুলে আইনে তাই সিদ্ধে করে দিছি বাচ্চাডারে। ঝড়ের পর থেকে খাইয়ে না খাইয়ে আছি। এই চাইল-ডাইল কয়টা এখন ফুটোয় দেব মেয়েডারে। এই দুই দিন ঠিকমতো চাইরডে খাতি দিতিও পারিনি। এখন ভাত পালি যে কী খুশি হবেনে।’

বাগেরহাট সদর উপজেলার চাপাতলা গুচ্ছগ্রামের জাহানুরের মতো ভোলা, পটুয়াখালী, খুলনা, সাতক্ষীরার দুর্যোগকবলিত এলাকার মানুষের হাতে প্রথম আলো ট্রাস্টের পক্ষ থেকে সহায়তা তুলে দেওয়া হয়েছে। প্রথম আলো বন্ধুসভার সদস্যরা আজ শুক্রবার বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে এই ত্রাণ বিতরণ করেন। প্রথম আলোর সংশ্লিষ্ট এলাকার প্রতিনিধি ও নিজস্ব প্রতিবেদকদের পাঠানো খবর:

ভোলায় দুই শ পরিবারের হাতে খাদ্যসহায়তা
ভোলার সদর উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ রাজাপুর গ্রামের বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের বাইরে ঘূর্ণিঝড় আম্পানে ক্ষতিগ্রস্ত ২০০ মানুষের মধ্যে চাল, ডাল, পেঁয়াজ, আলু ও সাবান বিতরণ করা হয়ছে। ত্রাণ হাতে পেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের মুখে হাসি ফুটে উঠেছে।

শুক্রবার সকালে ভোলা বন্ধুসভার সদস্যরা চাল, ডাল, আলু, পেঁয়াজ, সাবান কিনে প্যাকেট করতে বসেন। দুপুরের পরে ত্রাণ নিয়ে রওনা হন রাজাপুররে উদ্দেশে। সেখানের বাঁধের বাইরের দুর্যোগকবলিত ২০০ মানুষকে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে মেঘনাপাড়ে ব্লকের ওপর বসানো হয়। পরে সবার সামনে পৌঁছে দেওয়া হয় খাদ্যসহায়তা।

পটুয়াখালীতে ত্রাণ বিতরণ। ছবি: প্রথম আলো
পটুয়াখালীতে ত্রাণ বিতরণ। ছবি: প্রথম আলো

খাদ্যসহায়তা বিতরণের সময় উপস্থিত ছিলেন রাজাপুর ইউপি সদস্য মাসুদ রানা, মদনপুর আলোর পাঠশালার সহকারী শিক্ষক হেলাল উদ্দিন, প্রথম আলো বন্ধুসভার সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন, প্রচার সম্পাদক আতাউর রহমান, প্রশিক্ষণ সম্পাদক ফিরোজ মাহমুদ, কার্যনির্বাহী সদস্য কবি সুকান্ত দে, প্রথম আলোর জেলা প্রতিনিধি নেয়ামতউল্লাহ, জিটিভির ক্যামেরা পারসন মো. ইউসুফ প্রমুখ।

দক্ষিণ রাজাপুর গ্রামের পল্লিচিকিৎসক আমির হোসেন বলেন, যাঁরা সবখান থেকে বঞ্চিত, তাঁদের কাছে প্রথম আলো ট্রাস্ট এর আগেও বিভিন্ন সময় শীতবস্ত্র, ঈদের পোশাক ও খাদ্যসহায়তা দিয়েছে। তারা এবারও প্রকৃত অভাবী ও ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষকে খুঁজে বের করে পাশে দাঁড়াচ্ছে।
সহায়তা নিতে আসা ৭০ বছরের বৃদ্ধা জহুরা বেগম বলেন, এ দুর্যোগের সময় এই খাদ্যসহায়তা পেয়ে তাঁর খুশি লাগছে। বৃদ্ধা বিবি ফাতেমা বলেন, পেট ভরে খেয়ে রোজা রাখতে পারবেন। খুব ভালো লাগবে।

ভোলায় ত্রাণ বিতরণ। ছবি: প্রথম আলো
ভোলায় ত্রাণ বিতরণ। ছবি: প্রথম আলো


ত্রাণ পেলেন লাউকাঠি নদীপাড়ের ক্ষতিগ্রস্তরা
ঘূর্ণিঝড় আম্পানে পটুয়াখালীর দুর্গত এলাকার ৫০টি হতদরিদ্র পরিবারের মধ্যে প্রথম আলো ট্রাস্টের খাদ্যসহায়তা দেওয়া হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে পটুয়াখালী সদর উপজেলার লাউকাঠি নদীর পাড়ের জলোচ্ছ্বাসে ক্ষতিগ্রস্ত ৫০টি পরিবারের মধ্যে ৫ কেজি করে চাল, এক কেজি করে ডাল ও দুই কেজি করে আলু বিতরণ করা হয়। বন্ধুসভার সদস্যরা ট্রলারে করে গিয়ে এসব খাদ্যসহায়তা পৌঁছে দেন।

সহায়তা নিতে আসা নদীর পাড়ের বাসিন্দা গোলাপজান বিবি (৬৫) বলেন, ‘ভিক্ষা কইরা খাই, মানুষের জায়গায় থাহি। বইন্যার সময় পানিতে সব ভাইসা গেছে। এহন আপনাগো এই চাউল–ডাইল পাইয়া একলা মানুষ কয়েক দিন চলতে পারুম।’ গ্রামের আকলিমা বেগম (৪৫) বলেন, ‘জোয়ারের সময় এমনেই পানি ঘরের সামনে আয়। বইন্যার সময় ঘরের মধ্যেও পানি ডুকে। এইহানে কেউই আয় না। ত্রাণ লইয়া আপনারা আইছেন, এই চাউল পাইয়া আমরা খুব খুশি।’

ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রমে অংশ নিয়েছিলেন পটুয়াখালী বন্ধুসভার সভাপতি জাহিদা আক্তার, সাধারণ সম্পাদক জাহিদ হাসান, অর্থ সম্পাদক দিপ্র দাস, দুর্যোগ ও ত্রাণ সম্পাদক অন্তিক, সাহিত্য সম্পাদক নুশরাত জাহান, বন্ধুসভার সদস্য যীশু, উপদেষ্টা মেহেদী হাসান, প্রথম আলোর পটুয়াখালী প্রতিনিধি শংকর দাস প্রমুখ।

পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় ঘূর্ণিঝড় আম্পানে ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে ত্রাণসহায়তা দেওয়া হয়। ছবি: প্রথম আলো
পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় ঘূর্ণিঝড় আম্পানে ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে ত্রাণসহায়তা দেওয়া হয়। ছবি: প্রথম আলো

‘ত্রাণডা পাওনে দুই বেলা খাইতে পারমু’
পটুয়াখালীর কলাপাড়া পৌর শহর ও টিয়াখালী ইউনিয়নের ৯৫ জন দুর্গত মানুষকে প্রথম আলো ট্রাস্টের পক্ষ থেকে চার কেজি চাল, দুই কেজি আলু, এক কেজি ডাল, এক কেজি চিনি, এক প্যাকেট সেমাই দেওয়া হয়েছে। পৌর শহরের মংগল সুখ সরকারি মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২টার সময় ক্ষতিগ্রস্তদের হাতে এসব ত্রাণসামগ্রী তুলে দেওয়া হয়। সামাজিক দূরত্ব রক্ষা করে অসহায় মানুষদের হাতে খাদ্যসামগ্রী তুলে দেন বন্ধুসভার সদস্যরা।

টিয়াখালীর নাচনাপাড়া গ্রামের ফোকরা বেগম ত্রাণ পেয়ে বলেন, ‘মোর ঘর-বাড়ি জোয়ারের পানিতে ক্ষতিগ্রস্ত হইছে। মালপত্র সব ভিজ্যা গেছে। রাইন্দা খাওনের কোনো চাউলপাতি নাই। ত্রাণডা পাওনে দুই বেলা খাইতে পারমু।’

ত্রাণ বিতরণকালে উপস্থিত ছিলেন প্রথম আলো কলাপাড়া বন্ধুসভার উপদেষ্টা শুভ্রা চক্রবর্তী, সভাপতি মোস্তফা জামান, সাধারণ সম্পাদক জাহানারা খান, সহসভাপতি শামীম বেপারী, যুগ্ম সম্পাদক কাজী তরিকুল ইসলাম, উপ-সাংগঠনিক সম্পাদক খায়রুল ইসলাম শান্ত, অর্থ সম্পাদক মুন, দপ্তর সম্পাদক সাকিবুজ্জামান তানিম, প্রচার সম্পাদক জায়েদ বিন আমিন, দুর্যোগ ও ত্রাণ সম্পাদক রবিউল বাদশা, নারীবিষয়ক সম্পাদক আফসানা পলি, সমাজকল্যাণ সম্পাদক জাকিয়া বেগম, তথ্য ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম মাহিম, মানবসম্পদবিষয়ক সম্পাদক মরিয়ম আক্তার, প্রশিক্ষণ সম্পাদক আরবী আক্তার এবং প্রথম আলোর কলাপাড়া প্রতিনিধি নেছারউদ্দিন আহমেদ।

বাগেরহাটে ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রথম আলো ট্রাস্টের খাদ্যসহায়তা পৌঁছে দেন বন্ধুসভার সদস্যরা। সদর উপজেলার চাপাতলা গুচ্ছগ্রামে। ছবি: প্রথম আলো
বাগেরহাটে ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রথম আলো ট্রাস্টের খাদ্যসহায়তা পৌঁছে দেন বন্ধুসভার সদস্যরা। সদর উপজেলার চাপাতলা গুচ্ছগ্রামে। ছবি: প্রথম আলো

‘সব ভাইঙ্গে–চুরে গেইছিল, রান্তি পারি না, খাতি পারি না’
বাগেরহাট সদর উপজেলায় দুর্যোগকবলিত ২০০ পরিবারকে প্রথম আলো ট্রাস্টের পক্ষ থেকে খাদ্যসহায়তা হিসেবে চাল, ডাল, আলু দেওয়া হয়। বিষ্ণুপুর ইউনিয়নে নদতীরের চাপাতলা গুচ্ছগ্রামের ৭০টি পরিবার ছাড়াও খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দেওয়া হয় ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত মাঝিডাঙ্গা আশ্রয়ণ ও মাঝিডাঙ্গা গ্রামে।

এসব এলাকার মানুষের চোখে–মুখে এখনো আতঙ্কের ছাপ। ঝড়ের রাতে জোয়ারে প্লাবিত চাপাতলা গুচ্ছগ্রামের আশপাশে কোনো আশ্রয়কেন্দ্র বা পাকা ঘরও নেই। ফলে প্রচন্ড ঝড়–বাতাসের মধ্যে ঝুঁকি নিয়েই সারা রাত টিনের ঘরে ছিলেন সেখানকার মানুষ। ঝড়ের রাতে নদের পানির তোড়ে ভেঙে গেছে গ্রামটি যাওয়ার একটিমাত্র রাস্তা।

ওই গ্রামের সালমা বেগম বলেন, ‘এত বৃষ্টি আর বাতাস হইছে। আমাদের হাইতনে (উঠান), ঘর সব তলাই গেইছে। সব ভাইঙ্গে–চুরে গেইছিল। না খেয়ে ছিলাম। রান্তি পারি না, খাতি পারি না। আপনারা দুটে খাবার নিয়ে আইছেন। এখন আমরা কয়ডা রাইদে খাতি পারব।’

খাবারের ব্যাগটি হাতে পেয়ে কেঁদে ফেলেন আরেক নারী। তাঁর স্বামী আসলাম ভ্যান চালান। পানিতে তাঁদের ঘরের সব ভিজে যায়। রাস্তা ভেঙে যাওয়ায় স্বামী ভ্যান নিয়ে যেতে পারছেন না। তাই পরিবার নিয়ে থাকতে হচ্ছে না খেয়ে। বলেন, ‘আপনারা ত্রাণ নিয়ে আইছেন। এই আল্লাহর কাছে শুকর আদায় করি।’

শুক্রবার সকাল থেকে প্রথম আলো ট্রাস্টের এই ত্রাণ কার্যক্রমে অংশ নেন বাগরেহাট প্রথম আলো বন্ধুসভার সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ আলী, রিজিয়া পারভিন, সাধারণ সম্পাদক হাসিবুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সৌরভ হালদার, রুতব সরকার, শফিকুল ইসলাম, লিনসা, নাফিজ প্রমুখ।

ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের মধ্যে ত্রাণ পৌঁছে দিচ্ছেন বন্ধুসভার সদস্যরা। শুক্রবার সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার সুন্দরবনসংলগ্ন গ্রাম গোলাখালীতে। ছবি: প্রথম আলো
ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের মধ্যে ত্রাণ পৌঁছে দিচ্ছেন বন্ধুসভার সদস্যরা। শুক্রবার সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার সুন্দরবনসংলগ্ন গ্রাম গোলাখালীতে। ছবি: প্রথম আলো

বিচ্ছিন্ন জনপদ গোলাখালিতেও পৌঁছেছে সহায়তা
সাতক্ষীরা থেকে প্রায় ১০০ কিলোমিটার দূরের বিচ্ছিন্ন জনপদ শ্যামনগর উপজেলার রমজাননগর ইউনিয়নের গোলাখালি গ্রাম। এ গ্রামে বসবাস করে ১২০টি পরিবার। প্রমত্ত মাদার নদ পাড়ি দিয়ে তাঁদের কালিঞ্চি গ্রাম হয়ে ভেটখালি বাজারে যেতে হয় হাটবাজারসহ দৈনন্দিন কাজ করতে।

প্রথম আলো ট্রাস্টের পক্ষ থেকে আজ শুক্রবার গোলাখালিতে ও কালিঞ্চি গ্রামে আম্পানে ক্ষতিগ্রস্ত দেড় শ পরিবারের মধ্যে ত্রাণসহায়াতা দেওয়া হয়। সাতক্ষীরা থেকে বন্ধুসভার সদস্যরা ত্রাণ নিয়ে সকালে ভেটখালি বাজারে পৌঁছান। সেখান থেকে নদীপথে ১৫ কিলোমিটার গিয়ে গোলাখালি গ্রাম।

গোলাখালি গ্রামের নেছার বিবি (৭৮) ত্রাণ সহায়তা পেয়ে জানান, তিনি যারপরনাই খুশি। নদী পার হয়ে আসতে হয় বলে এখানে কেউ আসে না ত্রাণ দিয়ে। গ্রামের মানুষগুলো খুবই কষ্টে আছে। ত্রাণ পেয়ে গ্রামের মানুষগুলোর খুব উপকার হবে।

ত্রাণ বিতরণের সময় উপস্থিত ছিলেন শিক্ষক শম্পা গোস্বামী, প্রথম আলো বন্ধুসভার সভাপতি জাহিদা জাহান, সদস্য কিয়া, শরিফুল, জাহিদ মনিরুল, গোলাম হোসেন, প্রথম আলোর যশোর প্রতিনিধি মনিরুল ইসলাম, ফটোসাংবাদিক এহসান উদদোলা ও প্রথম আলো সাতক্ষীরা অফিসের নিজস্ব প্রতিবেদক কল্যাণ ব্যানার্জি।

আম্পান–দুর্গত খুলনার কয়রা উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় প্রথম আলো ট্রাস্টের ত্রাণসহায়তা পৌঁছে দেওয়া হয়। ছবি: প্রথম আলো
আম্পান–দুর্গত খুলনার কয়রা উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় প্রথম আলো ট্রাস্টের ত্রাণসহায়তা পৌঁছে দেওয়া হয়। ছবি: প্রথম আলো

‘ঈদের দিন অন্তত না খেয়ে থাকতে হবে না’
আইলায় সবকিছু হারিয়েছিলেন সালাহউদ্দনি সরদার। আম্পানেও আবার সবকিছু হারিয়েছেন। ঘরের চাল-ডাল সবকিছু ভেসে গেছে। এখন খাওয়ার কিছু নেই। অন্য কোনো জায়গা থেকেও ত্রাণ পাওয়া যায়নি। এমন পরিস্থিতিতে প্রথম আলো ট্রাস্টের সহায়তা পেয়ে পঞ্চাশোর্ধ্ব সালাহউদ্দিন বলেন, ‘এই সহায়তা পেয়ে ঈদের দিন অন্তত না খেয়ে থাকতে হবে না।’

আম্পানের কারণে কয়রার মহারাজপুর ইউনিয়নের ওই ব্যক্তির সবকিছু ভেসে গেছে। এখন আশ্রয় নিয়েছেন বাঁধের ওপর। সেখানেই দুই দিন ধরে পরিবার নিয়ে দিন কাটছে তাঁর।

সাতক্ষীরায় ত্রাণ বিতরণ। ছবি: প্রথম আলো
সাতক্ষীরায় ত্রাণ বিতরণ। ছবি: প্রথম আলো

সালাহউদ্দিনের মতো খুলনার কয়রা উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় এমন ১৫০টি পরিবারের মধ্যে আজ শুক্রবার খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। এ কাজে সহযোগিতা করেছে প্রথম আলোর খুলনা বন্ধুসভা। খাদ্যসামগ্রীর মধ্যে ছিল চাল, ডাল, তেল, লবণ, আলু, পেঁয়াজ ও খাওয়ার স্যালাইন।

[প্রতিবেদন তৈরিতে তথ্য দিয়েছেন নিজস্ব প্রতিবেদক, খুলনা, সাতক্ষীরা; প্রতিনিধি, ভোলা, পটুয়াখালী, কলাপাড়া, বাগেরহাট]