ঘরে বসে ২১ চিকিৎসকের বিনা মূল্যে টেলিমেডিসিন

প্রতীকী ছবি: রয়টার্স
প্রতীকী ছবি: রয়টার্স

করোনা পরিস্থিতিতে ঘরের বাইরে যেতে মানা। তাই ঘরে বসেই রোগীদের চিকিৎসা পরামর্শ দেওয়ার কাজ করছেন ঝিনাইদহের ২১ চিকিৎসক। মুঠোফোন, সামাজিক যোগাযোগের বিভিন্ন মাধ্যম ব্যবহার করে তাঁরা এখন পর্যন্ত ১ হাজারের বেশি রোগীকে ডিজিটাল স্বাস্থ্যসেবা দিয়েছেন বলে জানা গেছে।

প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত এই সেবা চালু থাকে। চিকিৎসকেরা সবাই নিজ উদ্যোগে এই কার্যক্রমে অংশ নিচ্ছেন। এই কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত কোটচাঁদপুর ডায়াবেটিক সমিতির প্রতিষ্ঠাতা ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনফার্টিলিটি বিভাগের চিকিৎসা কর্মকর্তা মোস্তফা মো. আল তারিক। গত ২৩ এপ্রিল থেকে শুরু হওয়া তাঁদের এই কার্যক্রমে বেশির ভাগ রোগী করোনার বাইরে নানা স্বাস্থ্য সমস্যার পরামর্শ নিচ্ছেন বলে জানান তিনি।

তারিক জানান, কোটচাঁদপুরকেন্দ্রিক পরিচালিত এই টেলিমেডিসিন কার্যক্রম এখন ছড়িয়ে পড়েছে দেশের অন্য জেলাগুলোতেও। এমনকি দেশের বাইরে থেকেও অনেক বাংলাদেশি তাঁদের কাছে পরামর্শের জন্য যোগাযোগ করছেন।

কোটচাঁদপুর উপজেলা ডায়াবেটিক সমিতি ও ডিআরবিডি২৪.কম–এর যৌথ উদ্যোগে এই টেলিমেডিসিন ও ডিজিটাল স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম শুরু হয়। প্রথমে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক পেজের মাধ্যমে রোগীরা চিকিৎসকদের সঙ্গে যোগাযোগ করলেও বর্তমানে হোয়াটসঅ্যাপ, ইমো ও মুটোফোনেও পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

তারিক বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে মানুষ নানা সমস্যা নিয়ে চিকিৎসার জন্য নানা স্থানে ছোটাছুটি করছেন। অনেক সময় সঠিক জায়গায় পৌঁছাতে পারছেন না। তাঁদের এই টেলিমেডিসিন স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম ওই সব রোগীদের জন্য সবচেয়ে বেশি কাজে আসছে। ডায়াবেটিস রোগে যাঁরা আক্রান্ত, তাঁরা বর্তমান পরিস্থিতিতে বেশি ভয়ে আছেন। তাঁরাও এই কার্যক্রমের মাধ্যমে পরামর্শ নিচ্ছেন।

এই কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত কোটচাঁদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ ফারুক হোসাইন জানান, তাঁরা সবাই নিজ উদ্যোগে এই কার্যক্রমে যুক্ত হয়েছেন। তিনি প্রতিদিন ৪ থেকে ৫ জন রোগীর পরামর্শ দিয়ে থাকেন। এই কার্যক্রমে রোগীর সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে।

চিকিৎসকদের বিনা মূল্যে টেলিমেডিসিন কার্যক্রম সম্পর্কে জানতে চাইলে কোটচাঁদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা আবদুর রশিদ বলেন, কোটচাঁদপুরে পরিচালিত টেলিমেডিসিন কার্যক্রম তাঁদের অনেক সহযোগিতা করছে। হাসপাতালে অযথা ভিড় না করে অনেক রোগী এই সেবা নিয়ে উপকৃত হচ্ছেন।