করোনায় পুলিশের এক এসআইয়ের মৃত্যু

এসআই মো. মোশাররফ হোসেন শেখ। ফাইল ছবি
এসআই মো. মোশাররফ হোসেন শেখ। ফাইল ছবি

করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) সংক্রমিত হয়ে রাজশাহী রেঞ্জ রিজার্ভ ফোর্সের (আরআরএফ) এক উপপরিদর্শকের (এসআই) মৃত্যু হয়েছে।

মারা যাওয়া এসআইয়ের নাম মো. মোশাররফ হোসেন শেখ (৫৬)। তিনি রাজশাহীতে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। শুক্রবার রাত ১১টায় কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ নিয়ে আজ পর্যন্ত সারা দেশে ১২ জন পুলিশ সদস্যের করোনায় মৃত্যু হলো।

পুলিশ সদর দপ্তর জানায়, মো. মোশাররফ হোসেন শেখ পাবনা জেলার সুজানগর থানার নূরউদ্দিনপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, দুই মেয়ে ও এক ছেলেসহ অনেক আত্মীয়-স্বজন রেখে গেছেন। বাংলাদেশ পুলিশের ব্যবস্থাপনায় মরদেহ মরহুমের গ্রামের বাড়িতে পাঠানো হয়েছে। সেখানে জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে পারিবারিক কবরস্থানে মরদেহ দাফন করা হয়। মোঃ মোশাররফ হোসেন শেখের মৃত্যুতে বাংলাদেশ পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেল (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন।

এর আগে ডিএমপির উপপরিদর্শক (এসআই) মো. মজিবুর রহমান তালুকদার (৫৬) , কনস্টেবল জসিম উদ্দিন (৪০), সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মো. আবদুল খালেক (৩৬), ট্রাফিক কনস্টেবল মো. আশেক মাহমুদ (৪৩), ডিএমপি পরিবহণ বিভাগেন আল মামুনুর রশিদ(৩৮), ট্রাফিক কনস্টেবল জালালউদ্দিন খোকা (৪৭), পাবলিক অর্ডার ম্যানেজমেন্টের (পিওএম) উপপরিদর্শক (এসআই) সুলতানুল আরেফিন, পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) এসআই নাজির উদ্দীন (৫৫), পিওএমের এএসআই শ্রী রঘুনাথ রায় ও চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের ট্রাফিক বন্দর বিভাগে কর্মরত কনস্টেবল মো. নঈমুল হক এবং চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের কনস্টবেল মোখলেসুর রহমান করোনায় সংক্রমিত হয়ে মারা যান। মারা যাওয়া ১২ জনের মধ্যে নয়জন ডিএমপির সদস্য।

পুলিশ সদর দপ্তর জানায়, গতকাল পর্যন্ত সারাদেশে ৩ হাজার ৫৭৪ জন পুলিশ সদস্য করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। এদের মধ্যে ৭২২ জন সদস্য সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। সুস্থ্য হওয়া অনেকেই আবার কাজে যোগ দিয়েছেন। ঢাকা মহানগর পুলিশ আক্রান্ত হয়েছেন এক হাজার ২৭৭জন। আজ পর্যন্ত কোয়ারেন্টিনে আছেন তিন হাজার ৫১৬ পুলিশ সদস্য। আর আইসোলেশনে আছেন এক হাজার ২৬৯জন।

পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি (গণমাধ্যম) সোহেল রানা বলেছেন, পুলিশ সদস্যদের মধ্যে করোনা সংক্রামণ ঝুঁকি কমাতে বাংলাদেশ পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেল বেনজীর আহমেদের নির্দেশে বিভিন্ন ধরনের প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে আক্রান্ত পুলিশ সদস্যদের জন্য সর্বোত্তম সেবা ও শুশ্রূষা নিশ্চিত করতে বেসরকারি হাসপাতাল ভাড়া করাসহ সব পুলিশ হাসপাতালগুলোতে পর্যাপ্ত চিকিৎসা সরঞ্জামাদি সংযোজন করা হয়েছে। এ কারণে একদিকে পুলিশ আক্রান্তের হার যেমন কমছে, তেমনি দ্রুততার সঙ্গে বাড়ছে সুস্থতার হার।