ঝড়ে ভেঙে পড়া ঘর মেরামত করে দিলেন সেনাসদস্যরা

ঘূর্ণিঝড় আম্পানের তাণ্ডবে যোসেফ টুডুর ভেঙে পড়া ঘর মেরামত করে দেন সেনাসদস্যরা। রাজারামপুর এলাকা, শেখপুরা ইউনিয়ন, সদর, দিনাজপুর। ছবি: প্রথম আলো
ঘূর্ণিঝড় আম্পানের তাণ্ডবে যোসেফ টুডুর ভেঙে পড়া ঘর মেরামত করে দেন সেনাসদস্যরা। রাজারামপুর এলাকা, শেখপুরা ইউনিয়ন, সদর, দিনাজপুর। ছবি: প্রথম আলো

বৃহস্পতিবার ঘূর্ণিঝড় আম্পানের তাণ্ডবে শোয়ার ঘরটি ভেঙে পড়েছে যোসেফ টুডুর (৫৬)। দিনাজপুর শহরের নিকটবর্তী রাজারাম গ্রামে ওই ছোট্ট মাটির ঘরে স্ত্রীকে নিয়ে বসবাস করেন তিনি। একদিকে করোনা পরিস্থিতিতে কর্মহীন হয়ে আছেন, তার ওপর ঘরটি ভেঙে পড়ায় স্ত্রীকে নিয়ে বেশ বিপাকে পড়েছিলেন যোসেফ। তাঁর এই দুঃসময়ে পাশে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদস্যরা।

আজ শনিবার দুপুরে সেনাবাহিনীর ৬৬ পদাতিক ডিভিশনের ৪হর্স ইউনিটের একটি প্রতিনিধিদল মেরামত করে দিয়েছেন যোসেফের ঘর। ভেঙে যাওয়া ঘর পুনরায় মেরামত পেয়ে বেশ খুশি হয়েছেন যোসেফ টুডু দম্পতি।

যোসেফ টুডু বলেন, ব্যক্তিজীবনে এক সন্তানের জনক তিনি। বছর তিনেক আগে ছেলে বিয়ে করে আলাদা হয়ে গেছেন। স্ত্রী কোকিল টুডুকে নিয়ে দিনমজুরি করে সংসার চলে তাঁর। বেশ কয়েক বছর হয় ঘর মেরামত করতে পারেননি। টিনের চালায় বিভিন্ন জায়গায় ফুটো দেখা দিয়েছিল। ঘর মেরামত করার চেষ্টা করছিলেন তিনি। কিন্তু হঠাৎ ঘূর্ণিঝড় এসে তাঁর ঘরের টিনের চালা উড়ে নিয়ে গেছে। যোসেফ বলেন, ‘ঘরটা ভাঙ্গি যাই এংনা চিন্তাত পড়ি গেইনো। এই সময়ত কারঠে যাম কাউক কহিম। কিছু বুঝির পাউ না। আর্মির লোকরা আসি যেলা কহিল ওমহারা মোর ঘর ঠিক করি দিবে, মনডা এংনা ভালো হই গেইল।’

সেনাবাহিনীর ৬৬ পদাতিক ডিভিশনের ৪হর্স ইউনিটের ক্যাম্পেন আবু আহাদ হিমেল বলেন, ‘করোনাভাইরাস প্রতিরোধে দিনাজপুর জেলায় সেনাবাহিনীর একটি ইউনিট বিভিন্ন সামাজিক ও মানবিক কার্যক্রম পরিচালনা করছে। ঘূর্ণিঝড় আম্পানের পরে আমরা টহলে বেরিয়েছিলাম। রাস্তার পাশে ঘর ভেঙে গেছে দেখে গাড়ি থামাই। পরে যোসেফ টুডুর সঙ্গে কথা হয়। সবকিছু শুনে আমরা তাঁকে আশ্বস্ত করি তাঁর ঘর মেরামত করে দেবার। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী দেশের যেকোনো ক্রান্তিকালে তার দায়িত্ববোধ থেকে দেশে মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করে এবং সেনাবাহিনীর প্রত্যেক সদস্য এতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।