করোনা মোকাবিলায় ভেন্টিলেটর দিচ্ছে নাভানা গ্রুপ

নাভানা গ্রুপ করোনাভাইরাসে সংক্রমিত গুরুতর রোগীদের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে ইতিমধ্যে বিতরণ করেছে পোর্টেবল ভেন্টিলেটর। ছবি: সংগৃহীত
নাভানা গ্রুপ করোনাভাইরাসে সংক্রমিত গুরুতর রোগীদের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে ইতিমধ্যে বিতরণ করেছে পোর্টেবল ভেন্টিলেটর। ছবি: সংগৃহীত

করোনাভাইরাস মোকাবিলায় চট্টগ্রামে দেশের প্রথম ফিল্ড হাসপাতাল প্রতিষ্ঠায় পৃষ্ঠপোষকতার পর নাভানা গ্রুপ এবার দেশের বিভিন্ন জেলায় পোর্টেবল ভেন্টিলেটর বিতরণ করছে। দেশের অন্যতম বৃহৎ ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানটি করোনাভাইরাসে সংক্রমিত গুরুতর রোগীদের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে এরই মধ্যে বিতরণ করেছে আমদানিকৃত ডিএস-৮ বিআইপিএপি এসটি ৩০ ভেন্টিলেটর।

গত বৃহস্পতিবার দেশের অন্যতম বড় শিল্প প্রতিষ্ঠান নাভানা গ্রুপ এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।

নাভানা গ্রুপ সারা দেশে এ পর্যন্ত চীন থেকে আনা ৫০টি পোর্টেবল ভেন্টিলেটর এবং অন্যান্য চিকিৎসা সামগ্রী হস্তান্তর করেছে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে ঢাকার কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল, কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতাল, চট্টগ্রাম পুলিশ হাসপাতাল, ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ, বরগুনা জেনারেল হাসপাতাল, কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতাল, রামু উপজেলা হাসপাতাল এবং নারায়ণগঞ্জ,মুন্সিগঞ্জ,মৌলভীবাজার, নরসিংদী, চাপাইনবাবগঞ্জের জেলা প্রশাসন।

নাভানা গ্রুপ করোনাভাইরাসে সংক্রমিত গুরুতর রোগীদের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে ইতিমধ্যে বিতরণ করেছে পোর্টেবল ভেন্টিলেটর। ছবি: সংগৃহীত
নাভানা গ্রুপ করোনাভাইরাসে সংক্রমিত গুরুতর রোগীদের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে ইতিমধ্যে বিতরণ করেছে পোর্টেবল ভেন্টিলেটর। ছবি: সংগৃহীত

নাভানা গ্রুপ চীন থেকে উৎপাদিত ডিএস-৮ বিআইপিএপি এসটি ৩০ ভেন্টিলেটর নিয়ে এসেছে। এটি সহজে বহনযোগ্য ভেন্টিলেটর, যা খুব সহজেই ব্যবহার করা যায়। রোগীদের জন্য এই ভেন্টিলেটর ব্যবহারের জন্য বিশেষায়িত প্রশিক্ষণের প্রয়োজন হয় না। সাধারণ স্বাস্থ্যকর্মীরা খুব স্বল্পতম সময়ে প্রশিক্ষণ নিয়ে শ্বাসকষ্টে ভোগা রোগীদের জন্য এই ভেন্টিলেটর ব্যবহার করতে পারবেন।

এ ছাড়াও নাভানা গ্রুপ বিভিন্ন হাসপাতালে এন-৯৫ মাস্ক, গ্লাভস, ফেস শিল্ডসহ পিপিই (ব্যক্তিগত সুরক্ষা সামগ্রী) বিতরণ করেছে।

চট্টগ্রামের ফৌজদারহাটে নাভানা গ্রুপের একটি মোটরসাইকেল কারখানা বন্ধ করে করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে সেখানে ৫০-শয্যা বিশিষ্ট দেশের প্রথম ফিল্ড হাসপাতাল নির্মাণ করা হয়। জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. বিদ্যুৎ বড়ুয়ার নেতৃত্বে হাসপাতালটিতে চিকিৎসা দিচ্ছেন ১৫ জন চিকিৎসক, ৪০ জন নার্স ও ৩০ জন স্বেচ্ছাসেবক। প্রতিষ্ঠার পর থেকে এক মাসে হাসপাতালটিতে চিকিৎসা সেবা নিয়েছেন করোনাভাইরাসের সংক্রমণের শিকার ৩৩১ জন। এঁদের মধ্যে ২২ জন ফিল্ড হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন।