এস আলমের মা ও ছেলে করোনা আক্রান্ত

করোনাভাইরাস। ছবি: রয়টার্স
করোনাভাইরাস। ছবি: রয়টার্স

এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান সাইফুল আলম মাসুদের মা চেমন আরা বেগম (৮৫) ও ছেলে আহসানুল আলমও (২৬) করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। শনিবার বিআইটিআইডির ল্যাবে নমুনা পরীক্ষা শেষে রাতে এই তথ্য জানানো হয়। আক্রান্ত দুজনকে রাতেই উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার আনোয়ার খান মডার্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয় বলে পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে।

এর আগে গত ১৭ মে সাইফুল আলম মাসুদের পাঁচভাইসহ ছয়জনের করোনাভাইরাস পজিটিভ হয়। তার মধ্যে বড় ভাই মোরশেদুল আলম গত শুক্রবার রাতে জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

করোনা মোকাবিলায় গঠিত স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের বিভাগীয় সমন্বয়ক আ ম ম মিনহাজুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, মাসুদ সাহেবের মা এবং ছেলে আক্রান্ত হয়েছেন। তাদের ঢাকায় উন্নত চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়।

তার আগে আক্রান্তরা হলেন এস আলম গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান আবদুস সামাদ, পরিচালক রাশেদুল আলম, পরিচালক শহীদুল আলম, পরিচালক ওসমান গণি এবং এদের এক ভাইয়ের স্ত্রী ফারজানা বেগম।

অপর এক ভাইকেও দুদিন জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়ার পর ঢাকায় স্থানান্তর করা হয় বলে জানা গেছে।

সাইফুল আলম মাসুদ তাঁর মা-ভাইদের সঙ্গে নিয়ে নগরের সুগন্ধা আবাসিক এলাকার এক নম্বর রোডের এস আলম হাউজে বসবাস করেন। বাসায় বসেই তাঁরা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হন। এস আলমের চেয়ারম্যান সাইফুল আলম মাসুদ তাঁর স্ত্রীসহ বর্তমানে সিঙ্গাপুরে রয়েছেন বলে পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে।

এদিকে, শনিবার তৃতীয় দফা নমুনা পরীক্ষায় নগর মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হাসিনা মহিউদ্দিনের করোনা পজিটিভ আসে। তিনি প্রয়াত সাবেক মেয়র এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরীর স্ত্রী ও শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরীর মা। ১২ মে তাঁর করোনাভাইরাস পজিটিভ আসে।

শনিবার আক্রান্ত ১৬৬ জন:
চট্টগ্রামে শনিবার একদিনে ২৪ পুলিশ সদস্যসহ ১৬৬ জনের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। শনিবার চট্টগ্রামের তিনটি ল্যাব ও কক্সবাজার জেলা মেডিকেল কলেজের ল্যাবে করা ৪৫১ টি নমুনা পরীক্ষায় ১৬৬ জনের সংক্রমণ ধরা পড়ে বলে জানান জেলা সিভিল সার্জন সেখ ফজলে রাব্বি।

শনিবার পর্যন্ত চট্টগ্রাম জেলায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়াল এক হাজার ৬৪৫ জনে। এদিকে শনিবার রাত সাড়ে ১১টায় জেনারেল হাসপাতালে ৫৮ বছর বয়সী এক ব্যক্তি করোনাভাইরাসে মারা গেছেন। তিনি ১৯ মে থেকে হাসসপাতালে ভর্তি ছিলেন।