স্যাভলন' ব্র্যান্ডের নামের মতো নকল পণ্য বাজারজাত করার চেষ্টা

অভিযানে জব্দ ভেজাল ও নকল পণ্য। ছবি: সংগৃহীত
অভিযানে জব্দ ভেজাল ও নকল পণ্য। ছবি: সংগৃহীত

করোনা মহামারির এই সময়ে দেশের মানুষের কাছে জীবাণুনাশক পণ্যের চাহিদা যখন তুঙ্গে, তখন এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী স্বনামধন্য 'স্যাভলন' ব্র্যান্ডের নামের মতো করে বিভিন্ন মানহীন–নকল পণ্য বাজারজাত করার চেষ্টা করছে।

এই অসাধু ব্যবসায়ী শ্রেণিকে সহযোগিতা করছেন কিছু খুচরা বিক্রেতা। বিভিন্ন ফেসবুক পেজের মাধ্যমেও বিক্রি হচ্ছে এসব নকল পণ্য। এই ধরনের নকল ও মানহীন পণ্যগুলোর মাধ্যমে ক্রেতারা প্রতারিত হচ্ছেন।

এই ধরনের অসাধু ব্যবসায়ী এবং খুচরা বিক্রেতাদের বিরুদ্ধে অভিযানে নেমেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

গতকাল চাঁদপুর জেলার ডিবি একটি বাসার সন্ধান পায়, যেখানে 'স্যাভলন' ব্র্যান্ডের নকল পণ্য মজুত করে রাখা হয়েছিল। এ ঘটনায় কলিম নামের এক ব্যক্তিকে আটক করা হয়। অভিযানে এক লিটারের ৫০০ কনটেইনার ভেজাল ও নকল স্যাভলন, ৫০০ পিস হ্যান্ডওয়াশ ও স্যানিটাইজার জব্দ করা হয়। এই ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।

এই ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

একই সঙ্গে সব ভোক্তাকে নিজস্ব স্বাস্থ্য সুরক্ষায় এ ধরনের নকল পণ্য কেনা থেকে বিরত থাকতে আহ্বান জানানো হচ্ছে। বিজ্ঞপ্তি।

সংশোধন:

সংবাদ বিজ্ঞপ্তির ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি লেখা হয়েছিল। এতে মানহীন–নকল পণ্যের মধ্যে কোভ্লন নামটির উল্লেখ ছিল। কোভলন কোনো কোনো নকল পণ্য নয়। এটি বাংলাদেশ সরকারের অনুমোদন পাওয়া একটি জীবানুনাশক। এই অনিচ্ছাকৃত ভুলের জন্য আমরা দুঃখিত।

উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ sp;বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছ, প্রকাশিক সংবাদে কোভলনের নাম ভুলবশত এসেছে। 'কোভলন' বাংলাদেশ ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর থেকে অনুমোদিত একটি জীবাণুনাশক পন্য। এটি কেমিকো ফার্মাসিউটিক্যালস্ লিমিটেড উৎপাদন ও বাজারজাত করে। এ বিষয়ে জনসাধারণকে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য প্রতিষ্ঠানটি অনুরোধ করেছে।