দেশের বিভিন্ন স্থানে আজ ঈদ উদ্যাপন

সকাল নয়টায় ঈদুল ফিতরের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। তাজকাঠি এলাকা, বরিশাল, ২৪ মে। ছবি: প্রথম আলো
সকাল নয়টায় ঈদুল ফিতরের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। তাজকাঠি এলাকা, বরিশাল, ২৪ মে। ছবি: প্রথম আলো

দেশের বেশ কয়েকটি জেলার বিভিন্ন এলাকায় সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে একদিন আগেই আজ রোববার পবিত্র ঈদুল ফিতর উদ্‌যাপন করা হচ্ছে। সকালে সেসব এলাকায় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। করোনা পরিস্থিতির কারণে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ও সামাজিক দূরত্ব ঠিক রেখে ঈদের নামাজ আদায় করেছেন বলে জানিয়েছেন মুসল্লিরা।

বরিশাল বিভাগের ৪৫ গ্রামে ঈদ উপস্থাপন
সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে ঈদ উদ্‌যাপন করছেন বরিশাল বিভাগের চার জেলার ৪৫টি গ্রামের বাসিন্দা। রোববার বরিশাল, পটুয়াখালী, ভোলা ও বরগুনা জেলায় পবিত্র ঈদুল ফিতর উদ্‌যাপন হচ্ছে।

সকাল নয়টায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে সামাজিক দূরত্ব ঠিক রেখে বরিশাল নগরীর ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের তাজকাঠি এলাকায় হাজি বাড়ি জামে মসজিদে ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বরিশাল সিটি করপোরেশনের ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের তাজকাঠি, জিয়া সড়ক, টিয়াখালী, সিকদার বাড়ি, বাবুগঞ্জ উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নের ২০টি গ্রামসহ হিজলা, মেহেন্দীগঞ্জ, মুলাদী, বাকেরগঞ্জ উপজেলার কয়েক হাজার মানুষ একদিন আগে ঈদ উদ্‌যাপন করছেন।

পটুয়াখালী জেলার গলাচিপার সেনের হাওলা, পশুরবুনিয়া, নিজ হাওলা, কানকুনি পাড়া, বাউফলের রাজনগর, বগা, তাঁতেরকাঠি, মদনপুরা, ধাউরাভাঙ্গা, সুরদি চন্দ্রপাড়া, কনকদিয়া, দিপাশা, শাপলাখালী, আমিরাবাদ, কলাপাড়ার দনি দেবপুরসহ ২২ গ্রামের প্রায় পাঁচ হাজার মানুষ ঈদ উদ্‌যাপন করছেন। আজ আরও ঈদ উদ্‌যাপন করছেন বরগুনা জেলার আমতলী, পাথরঘাটা, বরগুনা সদর, বেতাগী উপজেলার পাঁচ সহস্রাধিক মুসল্লি।

ভোলার পাঁচ উপজেলার মধ্যে ভোলা সদরের ইলিশা, বোরহানউদ্দিনের মুলাইপত্তন, টবগী, পয়ি ও পশ্চিম মুলাইপত্তন, লালমোহন পৌর এলাকা ফরাজগঞ্জ ও লাঙ্গলখালী, তজুমদ্দিন উপজেলার শিবপুর ও শম্ভুপুর ও চরফ্যাশন উপজেলার আমিনাবাদ গ্রামসহ ১০টি গ্রামের প্রায় পাঁচ হাজার মানুষ ঈদ উদ্‌যাপন করেন। একদিন আগে সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে দীর্ঘদিন ধরে ঈদ উদ্‌যাপন করে আসছেন এসব এলাকার মুসল্লিরা।

বরিশাল নগরীর ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের তাজকাঠি এলাকার হাজি বাড়ি জামে মসজিদের সভাপতি আমীর হোসেন বলেন, সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখেই বরিশাল বিভাগের চার জেলার প্রায় ৪৫টি গ্রামে কয়েক হাজার মানুষ ঈদ উদ্‌যাপন করছেন। স্বাস্থ্যবিধি মেনে ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ঈদের জামাত সম্পন্ন হয়েছে।

বাবুগঞ্জ উপজেলার চাঁদপাশা গ্রামের জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, তাঁরা চট্টগ্রামের চন্দনাইশ শাহ সুফি দরবার শরিফের নির্দেশনা অনুযায়ী, একদিন আগে প্রতিবছর ঈদ করে আসছেন। এবারও চাঁদ দেখা সাপেক্ষে এমনটাই করেছেন। স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঈদের জামাত হয়েছে।

চাঁদপুরে ৪০ গ্রামে ঈদ উদ্‌যাপন
সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে চাঁদপুরের ৪০টি গ্রামে উৎসবমুখর পরিবেশে উদ্‌যাপিত হচ্ছে পবিত্র ঈদুল ফিতর। হাজীগঞ্জের সাদ্রা দরবার শরীফ সংলগ্ন বায়তুল মামুর জামে মসজিদে সকাল সোয়া নয়টায় সামাজিক দূরত্ব ঠিক রেখে ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়।

ফরিদগঞ্জ মুন্সিরহাট এলাকার ব্যবসায়ী টিটু মুন্সি বলেন, তাঁদের উপজেলায় একদিন মুসল্লিরা সকালে বিভিন্ন মসজিদ ও ঈদ গায়ে ঈদের জামাতে অংশ নেন।

সাদ্রা দরবার শরীফের বাকী বিল্লাহ জানান, করোনাভাইরাসের কারণে এ বছর সামাজিক দূরত্ব বজায়ে রেখে দরবার শরীফের মসজিদে ঈদের নামাজের জামায়াত অনুষ্ঠিত হয়। তবে এর আগে জীবাণুনাশক দ্রব্য ব্যবহার করে মুসল্লিদের মসজিদে প্রবেশ করানো হয়।

হাজীগঞ্জ উপজেলার বড়কুল পশ্চিম ইউনিয়নের সাদ্রা হামিদিয়া দাখিল মাদ্রাসার সাবেক অধ্যক্ষ মাওলানা ইসহাক এই রীতি চালু করেন। পরবর্তী সময়ে হাজীগঞ্জ, ফরিদগঞ্জ, মতলব, কচুয়া ও শাহরাস্তিসহ পাঁচ উপজেলার প্রায় ৪০টি গ্রামের অর্ধ লাখ মুসল্লি ঈদ উদ্‌যাপন করে আসছেন।

ফেনীর তিনটি স্থানে ঈদ

ফেনীতে সৌদি আরবের সঙ্গে তাল মিলিয়ে পৃথক তিনটি স্থানে আজ রোববার সকালে ঈদুল ফিতরের জামাতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সকালে ফেনী সদর উপজেলার ফরহাদ নগর ইউনিয়নের সুলতান পুর ও পূর্ব সুলতানপুর গ্রামে পৃথক দুটি ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়।

পূর্ব সুলতানপুর জামেয়া রশিদিয়া দরবার শরিফ মসজিদ ঈদ জামায়াতের নেতৃত্ব দেন মাওলানা নুরুন নবী ও সুলতানপুর দরবার শরিফ মসজিদে ঈদ জামায়াতের নেতৃত্ব দেন মাওলানা ওমর ফারুক।
স্থানীয় ফরহাদ নগর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) মো. মোশারফ হোসের টিপু জানান, গত প্রায় ৮০. বছর থেকে ওই গ্রামের একজন পীর সাহেবের মুরিদরা সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে এভাবে ঈদের জামায়াত করে আসছেন।

অপরদিকে জেলার পরশুরাম উপজেলা সদরের দক্ষিণ বাজারে অবসরপ্রাপ্ত মেজর মীর হোসেনের নেতৃত্বে তাঁর বাড়ির ছাদে ঈদের নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে মেজর মীর হোসেন নিজেই ইমামতি করেন।

জামালপুরে এক গ্রামে ঈদ উদ্‌যাপন
জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলার বলারদিয়ার গ্রামের বেশ কিছু পরিবারের সদস্যরা আজ সকাল সাতটার দিকে ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করেছেন। মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে মিল রেখে গত ১৫ বছর ধরে এই গ্রামের বেশ কিছু পরিবার ঈদ উদ্‌যাপন করে আসছেন।

বলারদিয়ার মাস্টারবাড়ী জামে মসজিদের সামনে এ নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। ওই মসজিদের ইমাম মাওলানা আজিম উদ্দিন ঈদের নামাজের ইমামতি করেন। এতে প্রায় ৭০ জন মুসল্লি অংশ নেন।

ইমাম আজিম উদ্দিনের বড় ছেলে হারুন অর-রশিদ বলেন, মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে মিল রেখে প্রায় ১৫ বছর ধরে ঈদুল ফিতর উদ্‌যাপন করে আসছেন তাঁরা। প্রত্যেক বছর এই নামাজে অনেক মানুষ অংশ নিতেন। এবার করোনাভাইরাসের কারণে অন্যান্য গ্রামের লোকজনকে নামাজে অংশ নেওয়া নিষেধ করা হয়েছিল। ফলে এবার মুসল্লি কম হয়েছে।

ঈদের নামাজ আদায়। সাহাপুর এলাকা, নোয়াখালী, ২৪ মে। ছবি: প্রথম আলো।
ঈদের নামাজ আদায়। সাহাপুর এলাকা, নোয়াখালী, ২৪ মে। ছবি: প্রথম আলো।

নোয়াখালীর তিন গ্রামে ঈদের নামাজ আদায়
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ ও সদর উপজেলার তিনটি গ্রামের বেশ কিছু মুসল্লি রোববার সকালে সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে পবিত্র ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করেছেন। এলাকাগুলো হলো সদর উপজেলার নোয়াখালী পৌরসভার সাহাপুর, বেগমগঞ্জ উপজেলার জিরতলী ফাজিলপুর ও গোপালপুর ইউনিয়নের বসন্তেরবাগ। সকাল সাড়ে আটটায় ওই সব এলাকায় ঈদুল ফিতরের জামায়াত অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বেগমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হারুন-উর-রশিদ চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, বেগমগঞ্জের দুটি জায়গায় সকাল সাড়ে আটটায় ঈদের জামায়াত অনুষ্ঠিত হয়েছে। এর মধ্যে ফাজিলপুরের জামায়াতে আনুমানিক ২০০ জন মুসল্লি অংশগ্রহণ করেন। আর বসন্তেরবাগের জামায়াত হয় দুটি। দুইটি জামায়াতে আনুমানিক ৩০০ মুসল্লি অংশ নেন।

পটুয়াখালীর ২২ গ্রামে ঈদের জামাত
পটুয়াখালীর ২২টি গ্রামের পাঁচ সহস্রাধিক পরিবার আজ রোববার পবিত্র ঈদুল ফিতর উদ্‌যাপন করছে। প্রতি বছরের মতো এবারও সৌদি আরবের সঙ্গে সংগতি রেখে এসব পরিবারে সদস্য জামাতে ঈদের নামাজ আদায় করেন।

সকাল নয়টার পটুয়াখালীর সদর উপজেলার বদরপুর গ্রামের বদরপুর দরবার শরিফ প্রাঙ্গণে বদরপুর দরবার শরিফ জামে মসজিদে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়। সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে মুসল্লিরা মসজিদে ঈদের জামাতে অংশ নেন। এতে ইমামতি করেছেন মসজিদের প্রধান খতিব মাওলানা মোহাম্মদ শফিকুল গনি। নামাজ শেষে দেশ ও জাতি এবং বিশ্ব মুসলিম উম্মার শান্তি কামনা করে মোনাজাত করা হয়।

পটুয়াখালীর সদর উপজেলার বদরপুর গ্রামের বদরপুর দরবার শরিফের পরিচালক মোহাম্মদ নাজমুস সায়াদাত আখন্দ জানান, জেলার সদর উপজেলার বদরপুর ও ছোট বিঘাই, গলাচিপা উপজেলার সেনের হাওলা, পশুরীবুনিয়া, নিজ হাওলা ও কানকুনি পাড়া, বাউফল উপজেলার মদনপুরা, শাপলাখালী, বগা, ধাউরাভাঙ্গা, সুরদী, সাবুপুরা, ও আমিরাবাদ এবং কলাপাড়া উপজেলার লালুয়া, নিশানবাড়িয়া, মরিচবুনিয়া, উত্তর লালুয়া, মাঝিবাড়ি, টিয়াখালীর ইটবাড়িয়া, পৌরশহরের নাইয়াপট্টি, বাদুরতলী, মিঠাগঞ্জ ইউনিয়নের সাফাখালী এই ২২ গ্রামে ঈদ উদ্‌যাপন করা হয়েছে।

দিনাজপুরে বেশ কিছু এলাকায় ঈদের আনন্দ
দেশের উত্তরবঙ্গের দিনাজপুরেও বেশ কয়েকটি এলাকায় ঈদ উদ্‌যাপন করা হয়েছে। আজ সকাল সাড়ে সাতটায় দিনাজপুর শহরের চুড়িপট্ট এলাকার পার্টি সেন্টারে আড়াই শতাধিক পুরুষ ও নারী ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করেন।

দিনাজপুর সদর উপজেলার কাহারোল, চিরিরবন্দর, বিরামপুর ও কাহারোল উপজেলার কয়েকটি গ্রামের মানুষ ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করেন এবং ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নেন।

এ দিকে সকাল সাড়ে সাতটায় বিরামপুর উপজেলার বিনাইল ইউনিয়নের আয়ড়া বাজার জামে মসজিদে মাওলানা ইলিয়াস আলী ও সকাল আটটায় জোতবানী ইউনিয়নের খয়েরবাড়ি-মির্জাপুর জামে মসজিদে মাওলানা দেলোয়ার হোসেন কাজী দুটি জামাতে ঈদের নামাজ পড়িয়েছেন।

খয়েরবাড়ি-মির্জাপুর জামে মসজিদে ঈদের জামাতের ইমাম মাওলানা দেলোয়ার হোসেন কাজী বলেন, ২০১৩ সাল থেকেই আমরা সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে ঈদের নামাজ আদায় করছি। বিগত বছরের তুলনায় এবারের জামাতে মুসল্লির উপস্থিতিও ভালো ছিলে।

একইভাবে কাহারোল উপজেলার ভবানিপুর জামে মসজিদে সকাল আটটায়, চিরিরবন্দর উপজেলার পূর্ব সাইতারা জামে মসজিদে দুটি জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে।

দিনাজপুর জেলা পুলিশ সুপার মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, ধর্মীয় অনুভূতি ও বিশ্বাসের জায়গা থেকে যে যার মতো ঈদের নামাজ আদায় করেছেন। তবে সংশ্লিষ্ট জায়গায় যেন কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে, সে জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা তৎপর রয়েছেন।

মৌলভীবাজারে বাসার ছাদে ঈদের নামাজ
মৌলভীবাজারে সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করেছেন জেলার অর্ধশতাধিক পরিবারের মুসল্লি। রোববার সকাল সাড়ে পাঁচটায় শহরের সার্কিট হাউস এলাকার আহমেদ শাবিস্তা নামের একটি বাসার ছাদে এই ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। নামাজে নারী ও পুরুষ অংশ নেন।

নামাজ শেষে দেশ ও জাতির সমৃদ্ধি কামনা করে মোনাজাত করা হয়। নামাজে ইমামতি করেন আবদুল মাওফিক চৌধুরী। তিনি বলেন, ১৫ বছর ধরে সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে এই ঈদের জামাত আদায় করে আসছেন তাঁরা।

পাবনায় ৪০ পরিবারের ঈদ উদ্‌যাপন
পাবনার সুজানগর উপজেলার দুলাই ইউনিয়নের বদনপুর গ্রামে আজ ঈদুল ফিতর উদ্‌যাপন হচ্ছে। দীর্ঘদিনের রেওয়াজ অনুযায়ী, গ্রামের ৪০ পরিবারর লোকজন সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে এই ঈদ উদ্‌যাপন করেন।

মুসল্লিরা জানান, গ্রামের ৪০টি পরিবার সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে এই ঈদ উদ্‌যাপন করেন। পরিবারগুলোর শতাধিক সদস্যদের ঈদের নামাজ আদায়ের মধ্য দিয়ে দিনের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। সকাল ১০টায় গ্রামের বদনপুর নকিবীয়া মাদ্রাসায় অনুষ্ঠিত ঈদের জামাতে ইমামতি করেন সাঁথিয়ার গৌরগ্রাম মাদ্রাসার শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ। নিরাপদ দূরত্ব মেনে নামাজ আদায় শেষে মুসল্লিরা বাড়ি ফেরেন। তবে করোনাভাইরাসের কারণে নামাজের পরে কোলাকুলিসহ অন্য আনুষ্ঠানিকতা বাদ রাখা হয়।

ওই ঈদ জামাতের ঈমাম আবুল কালাম আজাদ বলেন, দীর্ঘদিন ধরেই গ্রামটিতে সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে এই ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হচ্ছে। করোনাভাইরাসের কারণে এবার কিছুটা সংক্ষিপ্ত আয়োজন হলেও সুন্দরভাবে নামাজ আদায় করা হয়েছে। তবে গ্রামের লোকজনকে অকারণ ঘোরাফেরা থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে।