আম্পানে এক লাখ মানুষ পানিবন্দী, কারণ অব্যবস্থাপনা ও পুরোনো বাঁধ

ঘূর্ণিঝড় আম্পানের প্রভাবে উপকূল এলাকায় ব্যাপকভাবে শস্যহানি হয়নি। তবে প্রায় এক লাখ মানুষ পানিবন্দী। এর মূল কারণ পানিনিষ্কাশন অব্যবস্থপনা ও পুরোনা বাঁধ।

এ ছাড়া আম্পানে খুলনার কয়রা, দাকোপ এবং সাতক্ষীরার শ্যামনগর ও আশাশুনি উপজেলায় আনুমানিক ১৭০ জায়গায় প্রায় ৯৯টি বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

ঘূর্ণিঝড় আম্পান-পরবর্তী ক্ষয়ক্ষতি নির্ধারণ ও পুনর্বাসনবিষয়ক এক সভার পর্যবেক্ষণে এই তথ্য উঠে আসে। পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে আজ রোববার রাজধানীর গ্রিনরোডে যৌথনদী কমিশনের সভাকক্ষে সভা অনুষ্ঠিত হয়।

গত বুধবার রাতে দেশের ওপর দিয়ে বয়ে যায় ঘূর্ণিঝড় আম্পান। সরকারি তথ্য অনুযায়ী, এতে ২৬ জেলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বেশি ক্ষতি হয় সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, পটুয়াখালী ও বরগুনা জেলায়।

২২ ও ২৩ মে ক্ষতিগ্রস্ত তিনটি জেলা সাতক্ষীরা, খুলনা ও বাগেরহাট পরিদর্শন করেন পানিসম্পদসচিব কবির বিন আনোয়ার। আজকের সভায় সচিব তাঁর সফর সম্পর্কে পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক ও পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হকের সামনে সফরের বিস্তারিত তথ্য উপস্থাপন করেন।

বৈঠকে বাঁধ মেরামতের জরুরি কাজে সেনাবাহিনীর সহায়তা নেওয়ার জন্য সিদ্ধান্ত হয়। এ জন্য ৩০ মের মধ্যে সব নির্বাহী প্রকৌশলীকে নিজ নিজ অধিক্ষেত্র সরেজমিন পরিদর্শন করে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেন প্রতিমন্ত্রী।

পানিসম্পদসচিবের আগে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান, পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক, মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলামসহ ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা হেলিকপ্টারযোগে পরিদর্শন করেন।