এক টানে গন্তব্যে

করোনার কারণে ঈদের আগের দিনও ফাঁকা ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক। রোববার বিকেল, গৌরীপুর, দাউদকান্দি, কুমিল্লা। ছবি: আবদুর রহমান ঢালী
করোনার কারণে ঈদের আগের দিনও ফাঁকা ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক। রোববার বিকেল, গৌরীপুর, দাউদকান্দি, কুমিল্লা। ছবি: আবদুর রহমান ঢালী

করোনার কারণে এবার ঈদুল ফিতরের আগে বদলে গেছে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চিত্র। আজ রোববার সারা দিন এ মহাসড়ক পুরোটাই ছিল প্রায় ফাঁকা। তবে মহাসড়কে কিছুক্ষণ পরপর চলছে ব্যক্তিগত গাড়ি, মাইক্রোবাস, অ্যাম্বুলেন্স, পণ্যবাহী যানবাহন, সিএনজি ও ব্যাটারিচালিত এবং মোটরসাইকেল।

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে গণপরিবহন চলাচল বন্ধ রেখেছে সরকার। তবে ঈদে ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ে বাড়ি যাওয়ার অনুমতি রয়েছে। এ অবস্থায় যাঁরা রাস্তায় বেরিয়েছেন তাঁরা এক টানে গন্তব্যে চলে যেতে পারছেন। এতে স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক কম সময় লাগছে।

কুমিল্লার হোমনা উপজেলা সদরের বাসিন্দা আর্শাদ মিয়া ও তাঁর ছোট বোন রেহেনা আক্তার মোটরসাইকেলে করে ঢাকা থেকে ফিরছিলেন। বিকেলে তাঁদের সঙ্গে কথা হয় দাউদকান্দির গৌরীপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায়। তাঁরা বলেন, বাস ও মোটরসাইকেলের ভাড়া সমান। এবার এক টানে বাড়ি যাওয়া যাচ্ছে। একই খরচে সময়ও কম লাগছে।

আজ রোববার কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার মেঘনা-গোমতী সেতুর টোলপ্লাজা থেকে ইলিয়টগঞ্জ পর্যন্ত মহাসড়কের প্রায় ২০ কিলোমিটার ঘুরে দেখা যায়, মহাসড়ক প্রায় ফাঁকা। কিছুক্ষণ পরপর দু-একটি ব্যক্তিগত গাড়ি, মাইক্রোবাস, অ্যাম্বুলেন্স, পণ্যবাহী ট্রাক, অটোরিকশা ও মোটরসাইকেল চলছে।

কুমিল্লার লাকসাম সদরের বাসিন্দা জাবেদ মিয়া ঢাকায় চাকরি করেন। তিনি বাড়ি ফিরছিলেন। আজ বিকেল পাঁচটায় দাউদকান্দির গৌরীপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় কথা হয় তাঁর সঙ্গে। তিনি বলেন, প্রত্যেক ঈদে ছুটি হওয়ার পর এই মহাসড়কে যানবাহনের চাপ অত্যধিক বেড়ে যেত। মেঘনা, মেঘনা-গোমতী ও কাঁচপুর সেতু চার লেন চালু হওয়ার আগ পর্যন্ত প্রচণ্ড যানজট সৃষ্টি হতো। ঢাকা থেকে কুমিল্লা পর্যন্ত ২ ঘণ্টার পথ পার হতে ৮ থেকে ১৬ ঘণ্টা পর্যন্ত সময় লাগত। এবার গণপরিবহন বন্ধ। তবে ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ে যেতে বাধা নেই। এবার সময়ও কম লাগছে।

জানতে চাইলে দাউদকান্দি মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোস্তফা কামাল বলেন, মহাসড়কে গণপরিবহন নেই। ব্যক্তিগত গাড়ি চলতে দেওয়া হচ্ছে। মহাসড়কে চলাচলকারী যাত্রীদের নিরাপত্তা দিতে পুলিশের টহল রয়েছে।