ফটিকছড়িতে দুর্বৃত্তের গুলিতে ইউপি সদস্য খুন

ছবিটি প্রতীকী
ছবিটি প্রতীকী

চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার খিরাম ইউনিয়নে দুর্বৃত্তদের গুলিতে মো. জব্বার আলী (৩৭) নামের এক ইউপি সদস্য খুন হয়েছেন। তিনি খিরাম ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ৫ নং ওয়ার্ডের সদস্য ছিলেন। আজ সোমবার সকাল সাড়ে দশটার দিকে ইউনিয়নের খিরাম গ্রামের গোয়াজ বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, জব্বার স্থানীয় মসজিদে ঈদের জামাত শেষ করে বাড়িতে অবস্থান করছিলেন। সকাল সাড়ে দশটার দিকে ১০-১২ জন যুবক তাঁর বাড়িতে হানা দেয়। এ সময় তারা তাঁকে ঘিরে ধরে। মুহূর্তের মধ্যেই তারা টেনেহিঁচড়ে বাড়ির একটু দূরে নিয়ে পথেই এলোপাতাড়ি গুলি করে। গুলি তার বুকে এবং পিঠে লাগে। এলাকার লোকজন আহত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে নাজিরহাটে উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক বেলা সাড়ে এগারোটার দিকে তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডালিয়া কুনকুন কর প্রথম আলোকে বলেন, গুলিবিদ্ধ ইউপি সদস্যকে এখানে নিয়ে আসার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে। তার বুকে এবং পিঠে দুটি গুলি লেগেছে। বিষয়টি থানা-পুলিশকে জানানো হয়েছে।

ঘটনার জন্য খিরাম ইউনিয় পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যানকে দায়ী করেছেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ও ইউপি নির্বাচনে পরাজিত প্রার্থী মুহাম্মদ শহীদুল আলম।

অভিযোগ অস্বীকার করেছেন চেয়ারম্যান মুহাম্মদ সোহরাব হোসাইন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘তারা আমার পক্ষের লোকজনের ওপর হামলার দোষ চাপাচ্ছে। এটি তাদের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের ফসল। আমাদের কোনো হাত নেই।’

ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান চট্টগ্রামের হাটহাজারী সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) মো. আবদুল্লাহ আল মাসুম, ফটিকছড়ি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এইচ এম আবু তৈয়ব, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. সায়েদুল আরেফিন ও ফটিকছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. বাবুল আকতার।

ইউএনও মো. সায়েদুল আরেফিন প্রথম আলোকে বলেন, বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। ফটিকছড়ি থানার ওসি মো. বাবুল আকতার বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, চেয়ারম্যানের পক্ষের ও প্রতিপক্ষের লোকজনের কোন্দলের কারণে এ ঘটনা ঘটতে পারে। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হচ্ছে।