পটুয়াখালীতে আম্পানে ৩২৪টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত

ঘূর্নিঝড় আম্পানের আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত পটুয়াখালী সদর উপজেলার পূর্ব কালিকাপুর সরকারি প্রাথকি বিদ্যালয়। ছবি: প্রথম আলো
ঘূর্নিঝড় আম্পানের আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত পটুয়াখালী সদর উপজেলার পূর্ব কালিকাপুর সরকারি প্রাথকি বিদ্যালয়। ছবি: প্রথম আলো

ঘূর্ণিঝড় আম্পানের আঘাতে পটুয়াখালী জেলায় ৩২৪টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্যে একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, একটি মাধ্যমিক ও দুটি মাদ্রাসা সম্পূর্ণভাবে ও ৩২০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আংশিক বিধ্বস্ত হয়েছে।

পটুয়াখালী জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ও জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, পটুয়াখালী জেলায় ১২৩৬ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে একটি সম্পূর্ণ এবং আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ১৬৩টি। ২৯৬টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের একটি সম্পূর্ণ ও ৭২টি আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জেলায় মাদ্রাসা রয়েছে ২৬১টি। এর মধ্যে দুটি মাদ্রাসা সম্পূর্ণ ও ৭৩টি আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জেলার ৭৩টি কলেজের মধ্যে ১২টি আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

ঘূর্ণিঝড়ে পটুয়াখালী সদর উপজেলার লাউকাঠি ইউনিয়নের পূর্ব কালিকাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হয়েছে। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবদুর রশিদ জানান, ১৯৯৪ সালে স্থাপিত এই বিদ্যালয়টি ২০১৪ সালে সরকারিকরণ করা হয়। চারজন শিক্ষক ও প্রায় এক শ শিক্ষার্থীর পাঠদান চলে আসছিল। তিনি বলেন, ‘ছুটির পরে প্রতিষ্ঠানটি খুললে কিভাবে পাঠদান হবে তা ভেবে পাচ্ছি না।’

গলাচিপা উপজেলার রতনদি তালতলী ইউনিয়নের মেম সাহেব মাধ্যমিক বিদ্যালয় সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হয়েছে। টিন সেটের ওই বিদ্যালয় গৃহটি বিধ্বস্ত হওয়ায় বিদ্যালয়ের সকল আসবাবপত্র বিনষ্ট হয়েছে। পটুয়াখালী সদর উপজেলার মাদারবুনিয়া ইউনিয়নের বসাক বাজার এলাকার সাঈদ আহমেদ কলেজটি আংশিক বিধ্বস্ত হয়েছে। ২০০২ সালে প্রতিষ্ঠিত এই কলেজটিতে প্রায় ৩০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে ওই কলেজের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ গাজী সায়েদ আহমেদ জানান।

জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, উপজেলা পর্যায় থেকে ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর নামের তালিকা পাঠিয়েছে। ওই তালিকা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে ইতিমধ্যেই পাঠানো হয়েছে।