ঈদের দিনে যুবককে পিটিয়ে হত্যা

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

বগুড়ায় ঈদের দিন এক তরুণকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। সোমবার সন্ধ্যায় বগুড়া শহরের উপকণ্ঠ দ্বিতীয় বাইপাস সড়কের সাবগ্রাম জিগাতলা এলাকায় এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

নিহত তরুণ মো. বিটল মিয়া (২০) বগুড়া সদর উপজেলার রবিবাড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা ও বগুড়া শহরের একটি টেইলার্সের দরজি শ্রমিক ছিলেন। এ ঘটনায় মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত থানায় কোনো মামলা হয়নি। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রয়েছে।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, কয়েকজন বন্ধু মিলে বিটল ঈদের দিন বিকেলে কয়েকটি মোটরসাইকেল নিয়ে চকমিঠন গ্রামের ঈদগাহ মাঠের দিকে আড্ডা দিতে যাচ্ছিলেন। এ সময় সাবগ্রাম জিগাতলা এলাকায় কয়েকজন ঘুড়ি ওড়াচ্ছিলেন। বিটলের এক বন্ধু মোটরসাইকেল তুলে দেন ঘুড়ি ওড়ানো একজনের ওপর। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে কথাকাটাকাটি ও বাগ্‌বিতণ্ডার একপর্যায়ে জিগাতলা গ্রামের তিন যুবককে ছুরিকাহত করেন যুবকেরা। আহতদের তাৎক্ষণিক শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

চকমিঠন ঈদগাহ মাঠে আড্ডা শেষে সন্ধ্যায় মোটরসাইকেল চালিয়ে একই পথে ফিরছিলেন বিটল এবং তাঁর সঙ্গীরা। এ সময় সাবগ্রাম-জিগাতলা মোড়ে পথরোধ করে লাঠিসোঁটা নিয়ে হামলা করেন প্রতিপক্ষ। লাঠির আঘাতে লুটিয়ে পড়েন বিটল মিয়া। তাঁকে গুরুতর আহত অবস্থায় শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে তাঁর মৃত্যু হয়।

বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম বদিউজ্জামান বলেন, এ ঘটনায় মঙ্গলবার বেলা ১১টা পর্যন্ত থানায় কোনো মামলা হয়নি, কাউকে আটক করাও সম্ভব হয়নি। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

বগুড়া সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সনাতন চক্রবর্তী প্রথম আলোকে বলেন, বিকেলে ছুরিকাঘাতের ঘটনায় আহত তিনজন শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। এর মধ্যে একজনের জখম গুরুতর এবং অন্য দুজন সামান্য চোট পেয়েছিলেন। সন্ধ্যায় হত্যাকাণ্ডের খবর জানার পর অল্প চোট পাওয়া দুজন হাসপাতাল থেকে পালিয়েছে।