বগুড়ায় যুবলীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা

ফিরোজ হোসেন
ফিরোজ হোসেন

পূর্ব বিরোধের জেরে বগুড়ায় ফিরোজ হোসেন (৪০) নামে এক যুবলীগ নেতাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। হামলায় গুরুতর আহত হয়েছেন ইমরান হোসেন (৩২) ও মশিউর রহমান (৩৬) নামে তাঁর দুই সহযোগী। মঙ্গলবার সন্ধ্যা সোয়া ছয়টার দিকে বগুড়া শহরের জহুরুলনগর একতলা মসজিদ এলাকায় মাহি ভিলা নামে ছাত্রাবাসে এই হামলার ঘটনা ঘটে।

নিহত ফিরোজ হোসেন বগুড়া শহরের ৪ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। তিনি শহরের চকসুত্রাপুর চামড়া গুদাম লেনের বাসিন্দা। বগুড়া জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম খুন ফিরোজের সাংগঠনিক পরিচয় নিশ্চিত করেছেন।

পুলিশের দাবি, ফিরোজ হোসেন নিজেও চিহ্নিত সন্ত্রাসী ছিলেন। ২০১৮ সালের ৮ সেপ্টেম্বর শহরের চকসুত্রাপুর সুইপার কলোনিতে মাদক নিয়ে খুন হন চিহ্নিত সন্ত্রাসী শাকিল আহমেদ ওরফে বিক্লাশ শাকিল। ফিরোজ ওই ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলার প্রধান আসামি ছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে আরও মামলা রয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমএস বদিউজ্জামান।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, ফিরোজের বাড়ি শহরের চকসুত্রাপুর হলেও জহুরুলনগর একতলা মসজিদ এলাকার মাহি ভিলা নামের ছাত্রাবাসে বসে অপরাধী কর্মকাণ্ড নিয়ন্ত্রণ করতেন। মঙ্গলবার বিকেলে কয়েকজন সহযোগী নিয়ে মাহি ভিলায় আড্ডা দিচ্ছিলেন ফিরোজ। সন্ধ্যা সোয়া ছয়টার দিকে ১০-১২ জন অস্ত্রধারী মাহি ভিলায় হামলা করে। এ সময় ফিরোজ ও তাঁর দুই সহযোগীকে কুপিয়ে আহত করে। শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা ফিরোজকে মৃত ঘোষণা করেন।

শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ পুলিশ ফাঁড়ির টিএসআই আবদুল আজিজ মণ্ডল প্রথম আলোকে বলেন, মাথায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি আঘাত করায় অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে ফিরোজ মারা গেছেন। আহত ইমরানের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

বগুড়া জেলা যুবলীগের সভাপতি শুভাশীষ পোদ্দার বলেন, ফিরোজ খুন হওয়ার পেছনে সাংগঠনিক কোনো বিষয় নেই।

বগুড়া সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সনাতন চক্রবর্তী প্রথম আলোকে বলেন, প্রাথমিক তদন্তে নিশ্চিত হওয়া গেছে, এলাকায় আধিপত্য বিস্তার ও মাদক ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে আলাল-দুলাল গ্রুপের সন্ত্রাসীদের হাতে ফিরোজ খুন হয়েছেন। ফিরোজ নিজেও চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও মাদক ব্যবসায়ী ছিলেন। এ ঘটনায় জড়িতদের আটকের চেষ্টা চলছে।