নড়াইলে আওয়ামী লীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা

নিহত আবদুল কাইয়ূম সিকদার। ছবি: সংগৃহীত
নিহত আবদুল কাইয়ূম সিকদার। ছবি: সংগৃহীত

নড়াইলের কালিয়া উপজেলায় এক আওয়ামী লীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন তিনজন। মঙ্গলবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে উপজেলার কালিনগর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে এ ঘটনা ঘটেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

নিহত ওই নেতার নাম আবদুল কাইয়ূম সিকদার। তিনি উপজেলার নড়াগাতি থানার কলাবাড়িয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও কলাবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের তিন নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য। নড়াগাতি থানার বিলাফর গ্রামের হাসু সিকদারের ছেলে কাইয়ূম। আহত তিনজন হলেন নড়াগাতি থানা কৃষক লীগের সভাপতি আবুল হাসনাত মোল্লা (৪০), একই গ্রামের দুই ভাই মতিয়ার মল্লিক (৪০) ও সজিব মল্লিক (৪২)।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দুই মোটরসাইকেলে করে আবদুল কাইয়ূমসহ চারজন উপজেলা শহর থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। তাঁরা কালিনগর গ্রামে পৌঁছালে তাঁদের থামিয়ে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করে সন্ত্রাসীরা সটকে পড়ে। এতে আবদুল কাইয়ূম নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন তাঁর সঙ্গী আবুল হাসনাত মোল্লা, মতিয়ার মল্লিক ও সজিব মল্লিক। গুরুতর আহত অবস্থায় তিনজনকে উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

নড়াগাতি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রোখসানা খানম বলেন, এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত আছে। তবে ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, কলাবাড়িয়া ইউনিয়নের আধিপত্য বিস্তার নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মাহামুদুল হাসান কায়েসের সঙ্গে কাইয়ূম সিকদারের দীর্ঘদিন ধরে দ্বন্দ্ব চলে আসছে। এর জের ধরেই এই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হতে পারে।

এ বিষয়ে কলাবাড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান মাহামুদুল হাসান কায়েস বলেন, 'কলাবাড়িয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির পদ নিয়ে কাইয়ুম সিকদারের সঙ্গে আবেদ শেখের দ্বন্দ্ব চলে আসছে। আবেদ শেখের ছোট ভাই কটাই শেখ হত্যা মামলার প্রধান আসামি কাইয়ুম সিকদার। এরই জের ধরে এই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হতে পারে।' তিনি আরও বলেন, 'দুই বছর ধরে আমি এলাকা ছেড়ে নড়াইল শহরে পরিবার নিয়ে বসবাস করছি, পাশাপাশি আইন পেশায় নিয়োজিত আছি। এলাকার কোনো ঘটনার সঙ্গে আমি জড়িত নই।'

নড়াইলের সহকারী পুলিশ সুপার (কালিয়া সার্কেল) রিপন চন্দ্র সরকার বলেন, এলাকার আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এই হতাহতের ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।