ইমাম পাল্টানো নিয়ে গোলাগুলি, আহত ৫

রাজশাহীর বাঘা উপজেলায় মসজিদের ইমাম পাল্টানোর জের ধরে আজ বুধবার দুপক্ষের গোলাগুলি ও সংঘর্ষে পাঁচজন আহত হয়েছেন। সকালে উপজেলার গড়গড়ি ইউনিয়নের চর এলাকার করারী-নওশারা গ্রামে এ সংঘর্ষ ঘটে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ দুজনকে আটক করেছে।

সংঘর্ষে আহত ব্যক্তিরা হলেন উজ্জ্বল (৩২), সাকিব (১৭), আরিফ (২২), মহির (৬০) ও খোরশেদ (৫৫)। তাঁদের মধ্যে প্রথম তিনজনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) কামরুন নাহার বলেন, আহতদের তিনজনই গুলিবিদ্ধ। তাঁদের রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দা সূত্রে জানা যায়, করারী-নওশারা গ্রামের পাশেই নাটোরের লালপুর উপজেলা। এখানকার সীমান্তবর্তী এলাকার একটি মসজিদে ওই গ্রামের লোকজন নামাজ পড়েন। এই মসজিদের ইমাম ঠিক করা নিয়ে দুই পক্ষের বিবাদ তৈরি হয়। এ নিয়ে গতকাল মঙ্গলবার রাতে দুপক্ষের মধ্যে মারামারি হয়। মসজিদটিতে মো. আখের নামের এক ব্যক্তি আগে থেকে ইমামের দায়িত্ব পালন করছিলেন। বয়স বেশি হওয়ায় তাঁকে বাদ দিয়ে মিলন নামের একজনকে ইমাম ঠিক করা হয়। কিন্তু আখেরের পক্ষের লোকজন তা মানতে রাজি হননি। এ নিয়ে আজ সকাল আটটার দিকে আবার গন্ডগোল বাধে। এর জের ধরে মো. আমজাদ ও মো. আলম নামের দুজনের সমর্থকেরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এ সময় গোলাগুলিও চলে। সংঘর্ষে পাঁচজন আহত হন। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। পুলিশ আহত তিনজনকে ভ্যানে করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। বাকি দুজন চিকিৎসা লাগবে না বলে ভ্যান থেকে নেমে পড়েন। পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুজনকে আটক করেছে।

এ বিষয়ে কথা বলার জন্য আমজাদ ও আলমের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

জানতে চাইলে বাঘা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম জানান, বালুচরের ভেতর দিয়ে আড়াই কিলোমিটার হেঁটে ঘটনাস্থলে যেতে হয়। সকাল ৯টার দিকে তিনি সেখানে যান। থানায় ফিরতে বেলা সাড়ে তিনটা বেজে যায়। আহত ব্যক্তিদের ক্ষতস্থান দেখে বন্দুকের গুলির আঘাত বলে তাঁর মনে হয়নি। বড়জোর এয়ারগানের গুলি হতে পারে। অবশ্য স্থানীয় লোকজন গোলাগুলির কথা বলেছেন। এ ঘটনায় বিকেল পর্যন্ত কেউ মামলা করতে আসেননি। আসলাম ও ফারদেস নামের দুজনকে তিনি জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে এসেছেন।