জ্বর ও শ্বাসকষ্টে দুই ব্যক্তির মৃত্যু

ছবিটি প্রতীকী
ছবিটি প্রতীকী

নোয়াখালী সদর ও বেগমগঞ্জ উপজেলায় করোনার উপসর্গ জ্বর ও শ্বাসকষ্টে দুই ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু তাঁদের কারোরই নমুনা সংগ্রহ করতে পারেনি স্বাস্থ্য বিভাগ। পরে স্বাস্থ্যবিধি মেনে তাঁদের দাফন এবং দুজনের বাড়ি লকডাউন (অবরুদ্ধ) করা হয়েছে।

গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাত একটায় সদরে এবং আজ বুধবার ভোরে বেগমগঞ্জে ওই দুজনের মৃত্যু হয়। তাঁদের বয়স যথাক্রমে ৪০ ও ৬০ বছর।

বেগমগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা অসীম কুমার দাশ বলেন, আজ ভোরে বাংলাবাজারের এক ব্যবসায়ী তাঁর বাড়িতে মারা যান। তাঁর পাঁচ-ছয় দিন ধরে জ্বর এবং সর্বশেষ শ্বাসকষ্ট ছিল বলে পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন। তবে এত দিন এ কথা কেউ স্বাস্থ্য বিভাগকে জানাননি। আজ মারা যাওয়ার কয়েক ঘণ্টা পর তাঁরা সংবাদ পান। এ কারণে নমুনা সংগ্রহ করা হয়নি। তবে আগামীকাল বৃহস্পতিবার তাঁর পরিবারের সদস্যদের নমুনা সংগ্রহ করা হবে।

সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান বলেন, জেলা শহরের সোনাপুরের মতিপুর এলাকার এক ব্যক্তি জ্বর ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাত একটার দিকে বাড়িতে মারা যান। কিন্তু নমুনা নেওয়ার মতো জনবল ও অ্যাম্বুলেন্স প্রস্তুত না থাকায় তাঁর নমুনা সংগ্রহ করা হয়নি। আজ বুধবার তাঁর পরিবারের পাঁচজন সদস্যের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে মারা যাওয়া দুই ব্যক্তির এলাকার কয়েকজন বাসিন্দা বলেন, করোনার উপসর্গ নিয়ে মারা গেলেও এই দুই ব্যক্তির নমুনা সংগ্রহ না করায় মৃত্যুর কারণ অজানা থেকে যাবে। এতে এলাকায় করোনার ঝুঁকি কতটা, তা-ও মানুষজন বুঝতে পারবেন না।

জানতে চাইলে বেগমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হারুন-উর-রশিদ চৌধুরী ও সদরের সুধারাম (সদর) থানার ওসি মো. নবীর হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ওই দুই ব্যক্তির লাশ বিশেষ ব্যবস্থায় দাফন করা হয়েছে। তাঁদের বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে।

জেলার বিভিন্ন উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, গত প্রায় এক মাসে এ জেলার সেনবাগ, বেগমগঞ্জ, সোনাইমুড়ী, সুবর্ণচর ও সদর উপজেলায় করোনার উপসর্গ নিয়ে অন্তত ১৪ জনের মৃত্যু হলো। তাঁদের মধ্যে বেগমগঞ্জে মারা যাওয়া ছয়জনের লাশের নমুনা পরীক্ষায় করোনা শনাক্ত হয়েছে।