যমুনায় নৌকাডুবির ঘটনায় আরও পাঁচ মরদেহ উদ্ধার

নৌকাডুবির ঘটনায় উদ্ধার হওয়া লাশ দেখতে উৎসুক জনতার ভিড়। আজ বৃহস্পতিবার সিরাজগঞ্জের চৌহালীতে। ছবি: প্রথম আলো
নৌকাডুবির ঘটনায় উদ্ধার হওয়া লাশ দেখতে উৎসুক জনতার ভিড়। আজ বৃহস্পতিবার সিরাজগঞ্জের চৌহালীতে। ছবি: প্রথম আলো

সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলায় যমুনা নদীতে অর্ধশতাধিক যাত্রী নিয়ে নৌকাডুবির ঘটনায় আরও পাঁচজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সকাল ও দুপুরে উপজেলার আজিমুদ্দি মোড় এলাকায় তিনজন, স্থলচর এলাকায় একজন ও ঘুসুরিয়া এলাকায় যমুনা নদীতে একজনের লাশ ভেসে উঠলে এলাকাবাসীর সহযোগিতায় লাশগুলো উদ্ধার করে পুলিশ।

এ নিয়ে নৌকাডুবির ঘটনায় শিশুসহ ১০ জনের লাশ উদ্ধার হলো। গত মঙ্গলবার দুপুরে এনায়েতপুর থেকে ৭৩ জন যাত্রী নিয়ে একটি ইঞ্জিনচালিত নৌকা চৌহালী যাওয়ার পথে স্থলচর এলাকায় ঝোড়ো বাতাসের কবলে পড়ে ডুবে যায়। পরে পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন ৫৪ জন যাত্রীকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করে।

চৌহালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাশেদুল ইসলাম ও এনায়েতপুর থানার ওসি মোল্লাহ মাসুদ জানান, বৃহস্পতিবার সকালে ও দুপুরে যমুনায় ভাসমান অবস্থায় পাঁচজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। সকালে উদ্ধার হওয়া চারজনের মধ্যে একজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তিনি মানিকগঞ্জ জেলার সিংগাইর থানার গোবিনহারা গ্রামের নুর মোহাম্মদের ছেলে আলোক মিয়া (৩০)। এখনো নিখোঁজ রয়েছেন ৯ জন।

এ ঘটনায় জীবিত উদ্ধার হওয়া যাত্রীরা জানিয়েছেন, তাঁরা শাহজাদপুর ও বেলকুচি উপজেলার শ্রমজীবী মানুষ। সবাই টাঙ্গাইলের করটিয়া ও মির্জাপুরে ধান কাটার জন্য যাচ্ছিলেন। নৌকায় ধারণ ক্ষমতার অতিরিক্ত যাত্রী তোলায় এই নৌকাডুবির জন্যও অনেকটা দায়ী।

এদিকে, বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দ্বিতীয় দিনের মতো ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল উদ্ধারকাজ শুরু করেছে। তবে ডুবুরি দলের কেউই গত দুই দিনে লাশ উদ্ধার করতে পারেনি। নয়টি লাশই উদ্ধার হয়েছে স্থানীয় লোকজন ও নিহতের স্বজনদের সহায়তায়।

সিরাজগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের উপসহকারী পরিচালক মনজিল হক প্রথম আলোকে জানান, ঢাকা থেকে সাত সদস্যের ডুবুরি দল ঘটনাস্থলে উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছে। তবে প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে উদ্ধার অভিযান পরিচালনায় কিছুটা বেগ পেতে হচ্ছে তাঁদের।

সিরাজগঞ্জের জেলা প্রশাসক ফারুক আহমেদ জানান, ঈদের সময় এমন দুর্ঘটনা পুরো জেলাবাসীকে শোকাহত করে তুলেছে। নিহতের প্রতিটি পরিবারকে ২৫ হাজার টাকা করে অর্থসহায়তার জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। নিখোঁজ যাত্রীদের উদ্ধার করতে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল অভিযান অব্যাহত রেখেছে।