করোনাকালে সাফারি পার্কের দুই পরিবারে নতুন অতিথি

গাজীপুরের শ্রীপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে মায়ের সঙ্গে কমন ইল্যান্ডের বাচ্চা। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে। ছবি: সাদিক মৃধা
গাজীপুরের শ্রীপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে মায়ের সঙ্গে কমন ইল্যান্ডের বাচ্চা। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে। ছবি: সাদিক মৃধা

করোনা–পরিস্থিতিতে সুখবর দিয়েছে গাজীপুরের শ্রীপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্ক। সেখানকার জেব্রার পালে বৃহস্পতিবার এক শাবকের জন্ম হয়েছে। আর ১৮ মে আফ্রিকান তৃণভোজী প্রাণী কমন ইল্যান্ডের ঘরে আসে নতুন অতিথি। জন্মের পর বাচ্চাগুলো মায়ের সঙ্গে পার্কের ভেতর বন্য পরিবেশে বিচরণ করছে।

বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানিয়েছেন, জন্ম নেওয়া কমন ইল্যান্ডের বাচ্চাটি পুরুষ। জেব্রাশাবকের লিঙ্গ নির্ণয় করা যায়নি। নিরাপত্তার জন্য এরা কিছুটা নির্জন স্থানে নবজাতককে নিয়ে অবস্থান করে। তাদের দিনের বিভিন্ন সময় বনের ফাঁকফোকরে দেখা যায়। এর আগে পার্কে ৭টি পুরুষ ও ১১টি নারী জেব্রা ছিল। কমন ইল্যান্ড ছিল দুটি।

পার্ক কর্তৃপক্ষ জানায়, সাফারি পার্কের আফ্রিকান সাফারি বেষ্টনীতে উন্মুক্তভাবে বসবাস করে কমন ইল্যান্ড। একই বেষ্টনীতে জেব্রারও বসতি। পার্কের কোর সাফারির একটি অংশ আফ্রিকান সাফারি জোন হিসেবে তৈরি করা হয়েছে। পার্কে এখন বাচ্চাসহ ১৯টি জেব্রা ও তিনটি কমন ইল্যান্ড আছে।

জেব্রার পালে এসেছে নতুন অতিথি। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে গাজীপুরের শ্রীপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে। ছবি: প্রথম আলো
জেব্রার পালে এসেছে নতুন অতিথি। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে গাজীপুরের শ্রীপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে। ছবি: প্রথম আলো

পার্কের ওয়াইল্ড লাইফ সুপারভাইজার সরোয়ার হোসেন খান জানান, কমন ইল্যান্ড সাধারণত এক সঙ্গে একটি বাচ্চার জন্ম দেয়। এদের গর্ভধারণের সময় ৯ মাস। বন্য পরিবেশে এদের গড় আয়ু ২০ থেকে ২৫ বছর। নারী কমন ইল্যান্ড দুই থেকে তিন বছরে প্রাপ্তবয়স্ক হয়। পুরুষ প্রাপ্তবয়স্ক হয় চার থেকে পাঁচ বছরে। জেব্রারাও একসঙ্গে একটি বাচ্চার জন্ম দিয়ে থাকে। জেব্রা ১২ থেকে ১৩ মাস গর্ভধারণের সময় পার করে। এদের গড় আয়ু ২০ বছর। পুরুষ জেব্রা চার বছরে ও নারী জেব্রা তিন বছরে প্রাপ্তবয়স্ক হয়।

পার্কের আরেক ওয়াইল্ড লাইফ সুপারভাইজার আনিসুর রহমান জানান, কমন ইল্যান্ড ও জেব্রাদের দলবেঁধে বসবাস করার স্বভাব। দক্ষিণ আফ্রিকায় বন্য অঞ্চলে এদের অবাধ বিচরণ। আফ্রিকা থেকেই সাফারি পার্কে আনা হয়েছে এ প্রাণীগুলো। উপযুক্ত পরিবেশ পেয়ে বাচ্চার জন্ম দিচ্ছে সাফারি পার্কে।

সাফারি পার্কের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও সহকারী বন সংরক্ষক তবিবুর রহমান বলেন, ‘জন্মের পরই আমাদের নজরে আসে শাবক দুটি। কিছুক্ষণ পরপর মায়ের দুধ পান করছে শাবকগুলো। আমরা মা ও শাবকদের দিকে আলাদা নজর রাখছি। শাবক দুটি সুস্থ আছে। পার্কে নিবিড় ও উপযুক্ত পরিবেশ পেয়ে অনেক প্রাণীই বাচ্চার জন্ম দিচ্ছে।’