বাউফলে সাংবাদিককে মামলায় ফাঁসানোর প্রতিবাদে মির্জাগঞ্জে সভা

পটুয়াখালীর বাউফলে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে যুবলীগ কর্মী নিহতের ঘটনায় করা মামলায় প্রথম আলোর বাউফল উপজেলা প্রতিনিধি মিজানুর রহমানকে আসামি করার প্রতিবাদ জানিয়েছে মির্জাগঞ্জ প্রেসক্লাব। আজ শুক্রবার সকালে প্রেসক্লাব মিলনায়তনে আয়োজিত সভা থেকে নিন্দা জানানোর পাশাপাশি দ্রুত মামলা থেকে সাংবাদিক মিজানুর রহমানের নাম প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়।

সভায় বক্তারা একটি হত্যা মামলায় একজন পেশাদার সাংবাদিককে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে আসামি করায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, প্রকৃত ও বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতা করতে গিয়ে সাংবাদিকেরা কোনো দল বা গ্রুপের প্রতিহিংসার শিকার হওয়া স্বাধীন সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে বড় হুমকি। তাই অতি দ্রুত ওই মামলা থেকে সাংবাদিক মো. মিজানুর রহমান মিজানের নাম প্রত্যাহার করতে হবে।

মির্জাগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি আনিসুর রহমানের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য দেন সাংবাদিক জাকির হোসেন, ফারুক খান, উত্তম গোলদার, রফিকুল ইসলাম সাদ্দাম, সোহাগ হোসেন ও অমিতাভ দাস।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বাউফল থানা ও জেলা পরিষদ বাংলোর সামনে তোরণ নির্মাণের ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত রোববার দুপুরে সাবেক চিফ হুইপ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আ. স. ম ফিরোজের সমর্থিত নেতা-কর্মীদের সঙ্গে বাউফল পৌর মেয়র জিয়াউল হকের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। ওই ঘটনায় যুবলীগের কর্মী তাপস গুরুতর আহত হন। তাঁকে বরিশালের শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসারত অবস্থায় ওই দিন সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় তাঁর মৃত্যু হয়।

এ ঘটনায় তাপসের ভাই বাদী হয়ে ৩৫ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন। এই মামলায় প্রথম আলোর বাউফল উপজেলা প্রতিনিধি মো. মিজানুর রহমানেরও আসামি করা হয়েছে।