কিশোরগঞ্জে এক দিনে করোনা শনাক্ত ১৭ জনের

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

কিশোরগঞ্জ জেলায় করোনার সংক্রমণ বাড়ছে। শনাক্ত ব্যক্তির সংখ্যা ৩০০ ছাড়িয়ে দাঁড়িয়েছে ৩১৭। সর্বশেষ আজ শুক্রবার দুপুরে পাওয়া রিপোর্টে নতুন করে ১৭ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।

গত শনিবার জেলায় সংগৃহীত মোট ২৩৩ জনের নমুনা পরীক্ষার জন্য মহাখালীর ইনস্টিটিউট অব পাবলিক হেলথে (আইপিএইচ) পাঠানো হয়েছিল। আজ দুপুরে নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট পাওয়া যায়। এর মধ্যে নয়টি নমুনা বাতিল হয়ে গেছে। বাকি ২২৪টি নমুনা পরীক্ষায় ১৭ জনের শরীরে করোনার অস্তিত্ব পাওয়া গেছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার পর্যন্ত কিশোরগঞ্জ জেলায় করোনা শনাক্ত ব্যক্তির সংখ্যা ছিল ৩০০। নতুন ১৭ জন নিয়ে এখন মোট আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়াল ৩১৭।

নতুন করে জেলায় পাঁচজন করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন। এর আগে জেলায় সুস্থ হওয়ার সংখ্যা ছিল ১৮৭। এ ছাড়া বর্তমানে জেলায় ১২৩ জন করোনা রোগী এবং ৬ জন সাসপেক্টেড বিভিন্ন হাসপাতাল ও নিজ বাড়িতে আইসোলেশনে রয়েছেন।

২০ মে থেকে জেলায় আক্রান্ত বক্তির সংখ্যা ক্রমে বাড়ছে। সেদিন ১৯ জনের করোনা শনাক্ত হয়। এরপর থেকে গত ৯ দিনে ৮৩ জনের করোনা শনাক্ত হলো।

কিশোরগঞ্জের সিভিল সার্জন মো. মুজিবুর রহমান জানান, নতুন করোনা শনাক্ত হওয়া ১৭ জনের মধ্যে সদর উপজেলায় ১ জন, করিমগঞ্জে ১ জন, তাড়াইলে ১ জন, পাকুন্দিয়ায় ১ জন, কটিয়াদীতে ১ জন, কুলিয়ারচরে ১ জন, ভৈরবে ১০ জন ও বাজিতপুর উপজেলার ১ জন।

জেলায় এ পর্যন্ত করোনায় নয়জনের মৃত্যু হয়েছে। সর্বশেষ গতকাল সকাল সাড়ে সাতটার দিকে করিমগঞ্জের গুজাদিয়া ইউনিয়নের টামনী ইসলামপুর গ্রামের নিজ বাড়িতে আইসোলেশনে থাকা অবস্থায় সামছুদ্দিন (৬৫) নামের এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে।

এর আগে মারা যাওয়া আটজন হলেন করিমগঞ্জের জঙ্গলবাড়ি মুসলিমপাড়া গ্রামের সেলিম মিয়া (৪৬), জেলা শহরের বড়বাজার টেনু সাহার গলি এলাকার নিতাই (৫০), হোসেনপুরের গোবিন্দপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ পানান গ্রামের ৯ বছর বয়সী শিশু মিজান, কুলিয়ারচরের গোবরিয়া আবদুল্লাহপুর ইউনিয়নের মাতুয়ারকান্দা গ্রামের মোস্তফা মিয়া (৬০), কটিয়াদীর করগাঁও ইউনিয়নের বাট্টা গ্রামের তরুণ ভূঁইয়া (৪০), বাজিতপুর পৌরসভার চারবাড়িয়া এলাকার মো. আল আমিন মিয়া (৬০), ভৈরব পৌর শহরের চণ্ডীবের দক্ষিণপাড়ার বাসিন্দা মৎস্য ব্যবসায়ী অমিয় দাস (৬০) ও মিঠামইনের ঘাগড়া ইউনিয়নের ঘাগড়া মীরহাটির রফিকুল ইসলাম (২৭)।