কুষ্টিয়ায় ৪৮ ঘণ্টায় ১৮ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

কুষ্টিয়ায় গত ৪৮ ঘণ্টায় ১৮ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। আজ শুক্রবার শনাক্ত হয়েছে ১০ জন, যা এযাবৎ সর্বোচ্চ সংখ্যক শনাক্ত। গত বৃহস্পতিবার শনাক্ত হয়েছিল ৮ জন।

ঈদের পর করোনা পজিটিভ রোগী বেড়ে যাওয়ার ঘটনায় চিকিৎসকেরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তাঁরা মনে করছেন, ঈদে বাড়িতে আসা মানুষেরা বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন এবং তাদের মাধ্যমে আরও ছড়িয়ে পড়ার শঙ্কা রয়েছে।

সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্র জানায়, গত ২২ এপ্রিল জেলায় প্রথম করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়। আক্রান্ত ব্যক্তি সরকারি একটি ব্যাংকের কর্মকর্তা মাদারীপুরে কর্মরত ছিলেন। করোনা উপসর্গ নিয়ে তিনি কুষ্টিয়ায় এলে তাঁর নমুনা পরীক্ষা করে পজিটিভ শনাক্ত হয়। এরপর থেকে ২৪ মে পর্যন্ত জেলার ছয়টি উপজেলায় ৩৫ জনের করোনো পজিটিভ পাওয়া যায়। ঈদের পর গত বুধবার ৪ জন, বৃহস্পতিবার ৮ জন ও আজ শুক্রবার ১০ জন পজিটিভ শনাক্ত হয়। প্রথম করোনা রোগী শনাক্তের পর ৩৪ দিনে শনাক্ত হয়েছেন ৩৫ জন। গত তিন দিনে হয়েছেন ২২ জন।

সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্র আরও জানায়, করোনা পজিটিভ হওয়া ৯০ ভাগই ঢাকা, নারায়ণগঞ্জসহ বেশি সংক্রমিত জেলা থেকে কুষ্টিয়ায় আসা ব্যক্তি। কুষ্টিয়ায় অদ্যাবধি ৫৭ জন রোগী শনাক্ত হলেন। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি দৌলতপুরে ১৯ জন। এ ছাড়া ভেড়ামারায় ৬, মিরপুরে ১০, সদরে ৭, কুমারখালীতে ১১ ও খোকসায় ৪ জন। তাঁদের মধ্যে পুরুষ রোগী ৪৩ ও নারী ১৪ জন। সুস্থ হয়েছেন ২৬ জন। বর্তমানে হোম কোয়ারেন্টিনে চিকিৎসাধীন ৩৩ জন। তাঁদের শারীরিক অবস্থাও ভালো রয়েছে। করোনায় আক্রান্ত হয়ে এখনো জেলায় কেউ মারা যাননি।

জানতে চাইলে কুষ্টিয়া সিভিল সার্জন এইচ এম আনোয়ারুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ঈদের পর গত দুই দিনে ব্যাপক হারে রোগী বাড়ছে। এটা উদ্বেগের বিষয়।